আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুফতি আল্লামা আলাউদ্দীন জিহাদীর ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে উত্তাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর


অধ্যক্ষ কাজী মোঃ আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম

হেফাজত আমিরের মৃত্যু রহস্যকে আড়াল করতে
আল্লামা আলাউদ্দিন জিহাদির বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা

আজ ২৩-৯-২০২০ রোজ বুধবার বিকাল ৩টায় মুফতি আল্লামা আলাউদ্দীন জিহাদীকে মুক্তি না দিলে হরতাল সহ কঠিন কর্মসূচী
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা, শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীন মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীকে দেশদ্রোহী কওমী অপশক্তির সাজানো মামলায় আটক করে রিমান্ডে নিয়ে অবাঞ্ছিত হয়রানী করে সরকার কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, তা জনগন জানতে চায়। মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর বিরুদ্ধে এ অবাঞ্ছিত মামলা বিচ্ছিন্ন কিছুই নয়, বরং এটি কওমীদের সুদুরপ্রসারী চক্রান্তেরই অংশ। হেফাজত আমির মাওলানা শফির মৃত্যু রহস্যকে আড়াল করতে জিহাদির বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আল্লামা জুবাইর আরও বলেন-এ কওমীরা দেশের শান্তি, সুস্থতা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনভাবেই সহায়ক নয়। এরা কূপমণ্ডুক ধ্যান-ধারনা সম্পন্ন উগ্রপন্থী একটি সম্প্রদায়। ঘৃন্য জঙ্গিবাদের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত সত্য। এদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জঙ্গি ট্রেনিং সেন্টার বললে কোনভাবেই অত্যুক্তি হবে না। এরা জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির অন্তরায়। ইতোপূর্বে ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত এ কওমীদের অবাঞ্চিত তান্ডব এর কথা দেশ ও জাতি কখনও ভুলবেনা। অতএব এদের সম্পর্কে সরকারের কঠোর ও সতর্ক নজরদারীর কোনপ্রকার ব্যত্যয় ঘটলে এরা বিষধর সাপের ন্যায় ছোবল মারবে। কেননা এরা কোনভাবেই দেশ ও জাতির মিত্র নয়। তিনি আরও বলেন- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হচ্ছে সুফিবাদি ভাবধারার উপর প্রতিষ্ঠিত একটি আদর্শবাদী সংগঠন। যেথায় সর্বপ্রকার উগ্রতা-সহিংসতা একেবারেই পরিত্যাজ্য। জাতীয় জীবনে স্খলনমুক্ত ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ একটি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনে নিরবচ্ছিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে এ সংগঠন। আহলে সুন্নাত বিরোধী যে কোন ধরনের ঘৃন্য ষড়যন্ত্র সুফিবাদী জনগণ রক্তমূল্যে প্রতিহত করবে।

এডভোকেট এম আবু নাছের তালুকদার বলেন- কওমীরা আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে এ সংগঠনের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর মত একজন আলেমেদ্বীনের হয়রানীমূলক গ্রেপ্তার কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছে না দেশের তাবৎ সুন্নী জনতা। কোনভাবেই থামছে না সুন্নী জনসাধারণের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। ফলে সুন্নী ঘরানায় বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ। অতএব, দেশের শান্তি-শৃংখলার ব্যাঘাত হতে পারে এমনিতর কোন কর্মকান্ডের দিকে সুফিবাদী জনগণকে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন বলেন- আল্লামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদিকে ফতুল্লা থানায় নিয়ে যাওয়ার পর দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হেফাজত নেতারা লাইভ প্রচার করছে। যেথায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও যোগ দেন। দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বাপকভাবে ভাইরাল হয়। স্বাধীন দেশের একজন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তির এহেন নির্লজ্জ পক্ষপাতদুষ্টতা কিসের ইঙ্গিত বহন করে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে অদ্য ২৩ সেপ্টেম্বর-২০২০ইং, বুধবার বিকেল ০৩টায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কেন্দ্রীয় নেতা দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আহলে সুন্নাতের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, ঘনিয়া দরবার শরীফের পীর আল্লামা নাজমুল হক আখন্দ, ইসলামিক ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব এম সোলায়মান ফরিদ, অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী আবু তৈয়ব, আলহাজ্ব এস এম সিরাজ উদ্দীন তৈয়বী, স ম হামেদ হোসাইন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-আল্লামা এনামুল হক সিকদার, অধ্যক্ষ আল্লামা হাসান রেজা আলকাদেরী, আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আল্লামা সালেহ আহমদ আনসারী, পীরজাদা রিফাতুল আলম হাফেজনগরী, মাওলানা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাহেরী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা সেলিম উদ্দীন আনোয়ারী, অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ জসিম উদ্দীন তৈয়বী, স ম শহিদুল হক ফারুকী, এম মহিউল আলম চৌধুরী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেজামী, মাওলানা নাছির উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা নাছির উদ্দীন আলবারী, আলহাজ্ব মাওলানা মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইন, মাওলানা কাজী মফিজুর রহমান, গাজী মোজাম্মেল হক আলকাদেরী, পীরজাদা শামসুদ্দিন হাবিবী, কাজী মাওলানা জাকের হোসাইন আনছারী। ছাত্রনেতা কাজী মুহাম্মদ আহসানুল আলম, এস এম আবু সাদেক সিটু, ইসলামী ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা পীরজাদা গোলাম হায়দার হাসিব, আহমদ রেজা, খ ম জামাল উদ্দীন, কাজী সোলতান আহমদ, এমদাদুল ইসলাম, মনির হোসাইন, মিসবাহুল ইসলাম ও তৌহিদ মুরাদ সুমন। সমাবেশে বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানশীন, পীর মাশায়েখ, আলেম ওলামা সহ আপামর জন সাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

অত:পর এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব চত্বর হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগিপাহাড় মোড়ে এ

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ