কিশোরগঞ্জের ইটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের প্রজারকান্দা ও শান্তিপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার একটি টেম্পু স্ট্যান্ডের আধিপত্য ও দখল নিয়ে শান্তিপুর গ্রাম ও প্রজারকান্দা গ্রামের লোকজনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর জেরে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে দুই গ্রামের শত শত মানুষ লাঠি বল্লম শর্কি নিয়ে ময়দানে সংঘর্ষে জড়ায়।
উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের শান্তিপুর ও প্রজারকান্দা গ্রামের মাঝখানের আন্দাইর গ্রামের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টার সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের সময় বুকে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বল্লম বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন প্রজারকান্দা গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে মো. বাদল মিয়া (৩৫)।
অপরদিকে প্রতিপক্ষের অস্ত্রে চোখে পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শান্তিপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. মিরাশ আলী (৭০)। দুজনেই পেশায় কৃষক ছিলেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্য, টেম্পু স্ট্যান্ডের বিরোধ নিয়ে শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মৃগা জনতা বাজারে সালিশ দরবারে শান্তিপুর গ্রামের খুর্শিদ আলম ও প্রজারকান্দা গ্রামের আতাউর রহমানের হাতাহাতি হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজন রাত থেকেই অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হতে থাকে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের লোকজন প্রজারকান্দা ও শান্তিপুর গ্রামের মাঝখানের গ্রাম আন্দাইর গ্রামের সামনে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই গ্রামের দুইজনেরর মধ্যে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামায়। আহতদের ইটনা, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান বলেন, টেম্পু স্ট্যান্ডে আধিপত্য ও দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের কিছু তরুণদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সবশেষ সালিশে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বলেন, এলাকার টেম্পু স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে দুই গ্রামের দুইজন মারা গেছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
Leave a Reply