Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে হেফাজতের তাণ্ডব, আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর,পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জে হেফাজতের তাণ্ডব, আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর,পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে কিশোরগঞ্জে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত হেফাজতকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে শহরের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে হরতাল সমর্থকরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। দুপুর ১২টার দিকে শত শত হরতাল সমর্থক লাঠিসোটা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা আধঘণ্টাব্যাপী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাণ্ডব চালায়। এ সময় অফিসের চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্রসহ ভাংচুর চালায়।
পরে শহরের গৌরাঙ্গবাজারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হরতাল সমর্থনকারীরা। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খান, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ২০-২৫ জন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম বার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতি পুলিশ কঠোর হাতে দমন করবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম গণমাধ্যমকে বলেন,আওয়ামী লীগ অফিসে যারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম. এ আফজল গণমাধ্যমকে বলেন, হরতাল সমর্থনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলাসহ ভাংচুর চালাবে এমনটি ভাবনায় ছিলনা। এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পারলে তো দলীয় নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে অবস্থান করতেন।
অন্যদিকে জেলা ইমাম ও উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানেন না।
এদিকে জেলা শহর ছাড়াও হরতাল সমর্থনকারী হেফাজতকর্মীরা কটিয়াদী উপজেলায় হামলা-ভাংচুর চালানোর খবর পাওয়া গেছে।