insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121প্রথম ডোজ টিকা যারা নিয়েছেন তাদের অনেকেই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়েছেন। বিশেষ করে ইনজেকশন দেওয়ার স্থানে মৃদু ব্যথা ও ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, অবসাদ, কাঁপুনি, জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে অনেকেরই। এর বাইরে মাংসপেশি ও সন্ধিতে ব্যথা, ইনজেকশনের স্থানে র্যাশ বা দানা, স্থানীয় লসিকা গ্রন্থি (যেমন বগলের) ফুলে যাওয়ার প্রমাণও মেলেছে।
দ্বিতীয় ডোজের বেলায় এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরো বাড়তে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পর বয়স্কদের চেয়ে বরং অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে বেশি। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ইমিউন রেসপন্স কিছুটা দুর্বল হয়ে আসে, বরং কম বয়স্কদের ইমিউন সিস্টেম টিকার পর ভালো প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর এর অর্থ হলো টিকার পর মৃদু বা সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়েছে।
দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য প্রস্তুতি নিন। পরবর্তী কয়েক দিন দূরে কোথাও বেড়ানো বা ভারী কোনো কার্যক্রম বা অনুষ্ঠানের আয়োজন না করাই ভালো। পর্যাপ্ত বিশ্রাম যাতে মেলে, সেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখুন। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, আগে দেখে নিতে পারেন। ডিপ ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশনে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শর্করা খুবই অনিয়ন্ত্রিত থাকলে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
ব্যথা হলে সাধারণ প্যারাসিটামল বা ওভার দ্য কাউন্টার ব্যথানাশক (যেমন আইবুপ্রফেন) গ্রহণ করতে পারেন। তবে টিকা দেয়ার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্যারাসিটামল বা নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্লামাটেরি খাওয়ার দরকার নেই। এতে টিকার কার্যকারিতায় প্রভাব পড়তে পারে। কেবল প্রয়োজন হলেই পরে গ্রহণ করুন।
টিকা দেয়ার দিন বা পরদিন শুয়ে থাকুন, তবে মাঝেমধ্যে উঠে সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন। প্রচুর পানি পান করুন। কারো কারো টিকা দেয়ার ৫ থেকে ১০ দিন পর ওই স্থানে র্যাশ হতে পারে। এটি বিলম্বিত অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টি হিস্টামিন খেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, যাদের প্রথম ডোজ টিকা নেয়া রয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। মনে রাখতে হবে টিকা মানেই আপনার শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়।
এসময় টিকা গ্রহণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে বলেও জানান তিনি।