insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হওয়ার নতুন রেকর্ড হয়েছে। সংক্রমণের হারও যথেষ্ঠ উদ্বেগজনক।
সর্বশেষ রিপোর্টে জেলায় মোট ১১০ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বিপরীতে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে জেলায় এদিন সুস্থ হয়েছেন মোট ২২ জন। তবে জেলায় কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হলেও আক্রান্ত নতুন কোন মৃত্যু নেই।
এ পরিস্থিতিতে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা আরো ৮৮ জন বেড়েছে।
আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জেলায় বর্তমান আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ৪৫২ জন। ফলে শুক্রবার (২৫ জুন) বর্তমান রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ৫৪০ জন।
জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ১১০ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৯ জন শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া বাকি ২১ জনের মধ্যে কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৭ জন এবং বাজিতপুর উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছে।
ফলে শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব জেলার মধ্যে শীর্ষে থাকা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় বর্তমান মোট রোগী ৫৪০ জনের মধ্যে ৪০৫ জনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৩৩৮ জন।
এছাড়া জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ৮৭ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
দুই উপজেলা বর্তমানে করোনাশূন্য থাকায় বাকি ১০ উপজেলা মিলিয়ে বর্তমান রোগীর সংখ্যা ১৩৫ জন।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ বুধবার (২৩ জুন) ও বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সংগৃহীত মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৫৭ ভাগ।
এ রিপোর্টে মোট ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়েছে।
বাকি ১৩১ জনের মধ্যে ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে। সেখানে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এই ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং হোসেনপুর ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৪৭ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ২ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
নতুন সুস্থ হওয়া ২২ জনের সবাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮২ জন যাদের মধ্যে ৫ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৫৫৬৪ জন শনাক্ত, ৪৯৩৭ জন সুস্থ এবং ৮৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৫৪০ জন। তাদের মধ্যে ৫৩ জন হাসপাতাল ও ৪৮৭ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জেলার মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এ দুই হাওর উপজেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোন রোগী নেই।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ৫৪০ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪০৫ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৫ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১৪ জন, ভৈরব উপজেলায় ২৭ জন, নিকলী উপজেলায় ৩ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১১ জন এবং ইটনা উপজেলায় ৩ জন রয়েছেন।
এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।
এরপর গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৯৫৮ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ২৮৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।
সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শুক্রবার (২৫ জুন) দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।