insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমান (৪৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ প্রাক্তন কর্মচারী এনামুল (২৪)সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার অন্যজন হচ্ছে, সুমন (২৭)। তাদেরকে রোববার (২৭ জুন) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার দুইজনের মধ্যে এনামুল জেলার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের আতরতোপা গ্রামের মেরাজ মিয়ার ছেলে ও সুমন শহরের গাইটাল ফার্মের মোড় এলাকার আরজু মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে নিহত ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমান জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রানাগাঁও গ্রামের আব্দুর রাশিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় বসবাস করে শহরের গাইটাল এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারের বিপরীতে সুমাইয়া মেডিকেল হক নামে একটি ফার্মেসী চালাতেন। গত শুক্রবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে জিয়াউর রহমানকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় আততায়ীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান মারা যান। শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এনামুল ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এনামুলকে জিয়াউর রহমান চাকুরিচ্যুত করলে সে ক্ষিপ্ত হয়। সে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। মনে পুষে রাখা জেদ থেকে এনামুল শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে জিয়াউর রহমানকে কৌশলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা গ্রামের নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগে দেওয়া জবানবন্দিতে এনামুলের নাম বলেও গেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম জানান, জিয়াউর রহমান আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে শনিবার (২৬ জুন) তার স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা (নং-৪০) দায়ের করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মারা যাওয়ায় এখন মামলায় হত্যার ধারা ৩০২ যুক্ত হবে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রোববার (২৭ জুন) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।