insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121প্রতিদিন সংবাদ ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার ধারণ করছে। দিন দিনে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টেও সংক্রমণের উর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিনই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠছে। সর্বশেষ রিপোর্টে জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ১১৫ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বিপরীতে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে জেলায় এদিন সুস্থ হয়েছেন মোট ৪৫ জন। এছাড়া জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সর্বশেষ করোনা পজেটিভ হয়ে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে দুইজন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার এবং দুইজন তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দা। চারজনই কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ পরিস্থিতিতে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা আরো ৬৬ জন বেড়েছে। জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ১১৫ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬২ জন শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাকি ৫৩ জনের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৯ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৬ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন এবং ইটনা উপজেলায় ৩ জন শনাক্ত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় বর্তমান মোট রোগী ১১৪৯ জনের মধ্যে ৭৩১ জনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৭১১ জন। এছাড়া জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ৯৮ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এক উপজেলা বর্তমানে করোনাশূন্য থাকায় বাকি ১১ উপজেলা মিলিয়ে বর্তমান রোগীর সংখ্যা ৪১৮ জন।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ শনিবার (৩ জুলাই), রোববার (৪ জুলাই) ও সোমবার (৫ জুলাই) সংগৃহীত মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৭ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৫২ ভাগ। যা আগের দিন ছিল শতকরা ৪৫ ভাগ। কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২১ জন যাদের মধ্যে ৭ জন আইসিইউতে রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ১৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৫৮৫ জন শনাক্ত, ৫৩৩৮ জন সুস্থ এবং ৯৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১১৪৯ জন। তাদের মধ্যে ৭৭ জন হাসপাতাল ও ১০৭২ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সবচেয়ে জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। জেলার একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোন রোগী নেই। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ১১৪৯ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩১ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১৯ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৩১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৫২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৭৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৭ জন, ভৈরব উপজেলায় ১২৪ জন, নিকলী উপজেলায় ৮ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২২ জন, ইটনা উপজেলায় ২২ জন এবং মিঠামইন উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এরপর গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৪৭৫ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৭২ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৩০৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় কেউ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি। কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।