insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা এবং কারখানা মালিক ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে রোববার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার রংমহলের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক কমরেড আবদুর রহমান রুমী।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সমন্বয়ক এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবুল হাসেম মাষ্টার, জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম শাহজাহান, বাসদ মার্কসবাদী জেলা নেতা কমরেড আলাল মিয়া প্রমুখ।
বাসদ নেতা এডভোকেট মাসুদ আহম্মদের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ছাত্তার, বাসদ নেতা কমরেড সেলিম, সিপিবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড নূরুল হক, হাবিবুর রহমান হীরা, ইটখলা নেতা মোজাম্মেল হক বকুল, ইজিবাইক নেতা আলমগীর ভূঁইয়া, হোটেল শ্রমিক নেতা অজয় সরকার, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ফাত্তাহ আমিন চৌধুরী সিয়াম, ছাত্রফ্রন্ট নেত্রী খালেদা আক্তার প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বাম জোট ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বক্তারা লকডাউনের মধ্যে অবৈধভাবে পরিচালিত হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় গেইট বন্ধ রেখে এবং অন্যান্য অব্যবস্থাপনার কারণে নারী ও শিশুসহ ৫২ জন শ্রমিককে হত্যার জন্য মালিক পক্ষকে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়া তারা নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক আবদুর রহমান রুমী তাঁর বক্তব্যে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জন শ্রমিকদের মধ্যে ২১ জনই কিশোরগঞ্জ জেলার উল্লেখ করে তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
স্থানীয় সমস্যাদির বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে লকডাউনে হতদরিদ্র শ্রমিকদেরকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা প্রদান, ফেনীতে সন্ত্রাসী কাউন্সিলরের গুলিতে কিশোরগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের সুবিচার দাবিসহ ঈদের আগে কিশোরগঞ্জের সর্বস্থরের শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।