insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় নতুন করে ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সর্বশেষ এ রিপোর্টে মোট ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে মোট ১৮১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। এর বিপরীতে এদিন জেলায় মোট ১০৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ কেড়ে নিয়েছে আরো চারটি তাজা প্রাণ। জেলায় করোনায় সর্বশেষ মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন নিজ বাড়িতে এবং একজন কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন নারী এবং দুইজন পুরুষ। তাদের মধ্যে ভৈরব উপজেলার একজন নারী (৮০) ও একজন পুরুষ (৬৫), বাজিতপুর উপজেলার একজন পুরুষ (৩৫) এবং কটিয়াদী উপজেলার একজন নারী (৭০)। ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন বেড়েছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব থেকে গত ২৮ জুলাই, ২৯ জুলাই, শনিবার (৩১ জুলাই), রোববার (১ আগস্ট), সোমবার (২ আগস্ট), মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ও বুধবার (৪ আগস্ট) পাওয়া ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৮৮ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। মোট ৬৪৫ জনের নমুনার মধ্যে বাকি ৪৫৭ জনের নমুনা বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাব ও রেপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং তাড়াইল, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, ভৈরব, নিকলী, বাজিতপুর, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩৪৬ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৭৯ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ১৮১ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বাকি ১১৭ জনের মধ্যে ভৈরব উপজেলায় ৩৪ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৪ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৬ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১০ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৩৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, নিকলী উপজেলায় ২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। নতুন সুস্থ হওয়া ১০৮ জনের মধ্যে ১০১ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। এছাড়া বাকি ৭ জন মিঠামইন উপজেলার সুস্থ হয়েছেন। মোট শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সব সূচকেই জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯৭ জন যাদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে এবং ১৫ জন এইচডিইউতে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৪৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ২৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
হাসপাতালটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৯৪৯ জন শনাক্ত, ৬৯৩০ জন সুস্থ এবং ১৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ২৮৫২ জন। তাদের মধ্যে ৮১ জন হাসপাতালে ও ২৭৭১ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ২৮৫২ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৮৪৭ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ২১১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৬১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৪৯ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৫৫ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৪৫৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬৯ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫৬৪ জন, নিকলী উপজেলায় ৪৩ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৯১ জন, ইটনা উপজেলায় ৩০ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৬ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৫২ জন রয়েছেন। জেলায় মোট মৃত্যু ১৬৭ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫৯ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৮ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৯ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১০ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৭ জন, ভৈরব উপজেলায় ৩২ জন, নিকলী উপজেলায় ৭ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৪ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন এবং মিঠামইন উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
জেলার একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোন মৃত্যু নেই।
এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৩০৭ জন এ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। এরপর গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৬৫৭ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩০৭ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এছাড়া গত ২৬ জুলাই থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১১০৪ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জন এ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৬ জন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি। কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।