প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৮, ২০২৪, ৩:৫৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ৩০, ২০২১, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকার, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
কিশোরগঞ্জ শহরের একটি মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে আজ সোমবার কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পাড়া পাঁচাশি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসার ওস্তাদ হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল (২৫) ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মো. নাঈম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মো. নাঈম ২০১৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া শ্যামলী সড়কে জামিয়াতুস সুন্নাহ নামক মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রটি (১০) আবাসিক ছাত্র হিসেবে মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়ে। পাঁচ বছর আগে তাকে এ মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। ছাত্রটির পিতা ঢাকায় চাকরি করেন। গত ২৬ আগস্ট তিনি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাসায় আসেন। পরদিন সকালে মাদ্রাসা থেকে ছেলেও বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে ছেলে ‘একটা কথা আছে’ বলে তার পিতাকে জানায়। পরে একসময় কথাটা বলবে বলায় পিতা এ বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় সপরিবারে তিনি শ্বশুরের বাসায় বেড়াতে যান। তখন মাদ্রাসা থেকে ওস্তাদ বিল্লাল মোবাইল ফোনে ছেলের পড়াশোনার ক্ষতি হবে তাগিদ দিয়ে ছেলেকে তাড়াতাড়ি মাদ্রাসায় পাঠাতে অনুরোধ করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে বিকালে বাসায় ফেরার পর ছেলে কান্নাকাটি করে ওস্তাদ কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনাটি পিতাকে জানায়। এরমধ্যে গত ১৫ আগস্ট সকালে ওস্তাদ বিল্লাল মাদ্রাসার টয়লেটে নিয়ে তাকে বলাৎকার করেন। ২৭ আগস্ট সকালে পুনরায় টয়লেটে নিয়ে বলাৎকার করেন। পরে ছেলেটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যায়।
ঘটনা শুনে তিনি কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে মাদ্রাসায় যান। মাদ্রাসার পরিচালক নাঈমের কাছে ঘটনাটি জানালে তিনি ওস্তাদ বিল্লালকে ডেকে আনেন। বিল্লাল প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেন। এ অবস্থায় পরিচালক নাঈমের জিম্মায় ওস্তাদ বিল্লালকে রেখে তারা চলে আসেন। কিন্তু পরে মাদ্রাসায় গিয়ে বিল্লালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিল্লালের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক নাঈম তাদেরকে জানান, বিল্লাল ক্ষমা চাওয়ায় তাকে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Copyright © 2024 Pratidin Sangbad. All rights reserved.