insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121প্রতিদিন সংবাদ ডেস্ক:
"রাষ্ট্র ও সমাজের সুশাসন প্রতিষ্ঠায়, শুদ্ধচার চর্চার বিকল্প নেই"এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরী হল রুম সুজনের সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সুজনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান খান, গণতন্ত্র পার্টি ও জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভুপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, সুজনের সহ-সভাপতি অ্যাড. নাসির উদ্দিন ফারুকী, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা খান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মস্তোফা কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক আলম সারোয়ার টিটু ও পৌর মহিলা কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলী,সাংগঠনিক ফারুকুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তার বলেন, ‘শুদ্ধাচার’ শুধু একটি রাশভারি শব্দই নয় বরং শব্দটি বিশুদ্ধতায়পূর্ণও বটে। শুদ্ধ ও আচার শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি ‘শুদ্ধাচার’ শব্দের। যার অর্থ চরিত্রনিষ্ঠা। তবে শুদ্ধাচারের গুরুগম্ভীর ভারিক্কি চালটা ‘প্রস্ফুটিত’ হয় প্রায়োগিকতায়। বাংলায় সাধারণত ‘নৈতিকতা ও সততা’ দ্বারা প্রভাবিত আচরণ ও উৎকর্ষ সাধনকে শুদ্ধাচার বলা হয়ে থাকে। শুদ্ধ বলতে সহজ ভাষায় বুঝায় পবিত্র, সাধু, খাঁটি, পরিষ্কার, শোধিত, নিষ্কলুষ, নিষ্ককণ্টক, নির্ভুল, নির্দোষ ইত্যাদি। একজন মানুষের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যখন সমাজ এই অভিধাগুলোর ব্যবহার ও প্রয়োগ করে, তখনই সেই মানুষ ‘শুদ্ধ মানুষ’ হিসেবে গণ্য হন। এ জন্য সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর, নৈতিক আদর্শকে চরিত্রে ধারণ ও বাস্তবে রূপায়ন করতে হয়। ব্যক্তি ও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুশৃঙ্খল ও শান্তি পূর্ণ জীবনধারণের জন্য ভালো আচরণ, ভালো রীতিনীতি, ভালো অভ্যাস রপ্ত ও পরিপালন করা অত্যাবশ্যক। শুদ্ধাচার দ্বারা একটি সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদ-, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্য বোঝানো হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হলো কর্তব্য নিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা। কিন্তু সমাজে নিষ্ঠাবান চরিত্রের মানুষ পাওয়া সহজসাধ্য নয়। তবে ‘শুদ্ধাচার’ বাস্তবায়ন করতে হলে আগে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে।
কোমল মতি শিশুকে যা শিক্ষা দেওয়া হবে তাই শিখবে। সুতরাং পরিবারের কর্তা যা শিখাবে বা দেখে শিখবে এবং বড় হয়ে তাই করবে। তাই ‘শুদ্ধাচার’ বাস্তবায়ন করতে হলে আগে নিজে ঠিক হতে হবে, পরিবারকে ঠিক করতে হবে, তাবেই দেশ ও জাতির উন্নতি হবে বলে মনে করেন আলোচকবৃন্দ। এ সময় সুশীল সমাজের জন প্রতিনিধি, ডাক্তার, ব্যবসায়ি, অ্যাডভোকেট, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, গৃহিনী ও সুজনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।