insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষ্যে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ
পাঠাগারকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা সরকারী
গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে মুজিববর্ষ কর্ণার প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে
শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের আলোরমেলাস্থ সরকারী গণগ্রন্থাগারে পাঠাগারের জন্য
বরাদ্দকৃত মালামাল ও বিভিন্ন উপকরণ মহিনন্দ ইতিহগাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল হক সাদীর কাছে হস্তান্তর করেন জেলা
সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরীয়ান আজিজুল হক।
জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরীয়ান আজিজুল হক বলেন, মুজিববর্ষ
উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের
তত্ত¡াবধানে পরিচালিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপন প্রকল্পের অধীন
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং মহিনন্দ ইতিহাস
ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারসহ ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারকে ৪টি বুকশেল্ফ,বই,
১টি রাউন্ড টেবিল, ২টি চেয়ার, ১টি কার্পেট ও কর্নারের জন্য প্রয়োজনীয়
হার্ডবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহিনন্দ
ইতিহগাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের কার্যক্রম দেখে অভিভূত হয়েছি। ২০২০
সালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে এ পাঠাগারকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা পদক দেওয়া
হয়েছে। এ বছরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের
অধীনে কিশোরগঞ্জের ২টি সরকারী প্রতিষ্ঠানে ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের
জন্য মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের গ্যালারি করে দেওয়া হয়। সে তালিকায় এ
পাঠাগারটিও ছিলো।’
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে ‘মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার’টি প্রতিষ্ঠার
পর বিভিন্ন কার্যক্রমে জেলায় প্রশংসিত হয়েছে। পাঠাগারের উদ্যোগে বই পাঠ
প্রতিযোগিতা, রচনা লিখাসহ বিভিন্ন দিবস পালন করে আসছে।
প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। পাঠকদের জন্য
প্রতিদিন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিন রাখা হয়। এ
পাঠাগারের উদ্যোগে জেলার শতাধিক পাঠাগারের ইতিহাস নিয়ে ‘কিশোরগঞ্জের
গ্রন্থাগার ও মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের ইতিহাস’ একটি বই
প্রকাশিত হয়েছে। পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী জেলা সরকারী
গণগ্রন্থাগারসহ বেসরকারী গ্রন্থাগার উন্নয়নেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখে
যাচ্ছেন। জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে
প্রতি বছরই তিনি কোনো না কোনো সনদ ও পুরষ্কার অর্জন করে থাকেন।