insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121ডেস্ক:
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১-১০ ডিসেম্বর খাদ্য অধিকার সপ্তাহ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জীবিকার নিশ্চয়তা, খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত এবং কৃষি পণ্যের লাভজনক মূল্য নির্ধারণ ও স্থানীয় কৃষি সমস্যা সমাধানের দাবিতে কিশোরগঞ্জে কৃষক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপম্যান্ট এবং খাদ্য নিরাপত্তানেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ জেলা শহরের একরামপুরে ফ্যামিলি টাইস কার্যালয়ে এ কৃষক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত কৃষক গণশুনানীতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশতাধিক কৃষক অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন কৃষক কৃষিক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এর উপপরিচালক ছাইফুল আলম।
কৃষক গণশুনানীতে অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাছুমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারীনেত্রী বিলকিছ বেগম, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণশুনানী সঞ্চালনা করেন ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপম্যান্ট এর নির্বাহী পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকী।
গণশুনানীতে বক্তারা বলেন, খাদ্য প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। খাদ্য অধিকার প্রতিটি মানুষের ক্ষুধা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং পুষ্টি বিষয়ক অধিকার রক্ষা করে। খাদ্য অধিকার একজন মানুষের অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত। প্রতিটি মানুষের খাদ্য অধিকার, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং পুষ্টি বিষয়ক অধিকার রক্ষা করে থাকে একজন কৃষক। তাই খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৃষককে প্রাধান্য দিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রথম শর্ত হলো, খাদ্যের জোগানের সাথে সে দেশের জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার সমন্বয় থাকা। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সার্বিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
গবেষণা বলছে, করোনার বিপর্যয় ঠেকাতে দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে লকডাউন আয়ের পথ বন্ধ হয়ে দরিদ্র-অতি দরিদ্র মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এই সময়ে দেশে নতুন করে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার (২২.৯%) মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে সবমিলিয়ে ৭ কোটি দরিদ্র মানুষ দারিদ্র্য অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।