ডেস্ক রিপোর্ট
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট (বামুকট্রা) কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ৮৮ মতিঝিলস্থ স্বাধীনতা ভবনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। এছাড়া ৭ মার্চ ২০২২ সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় স্বাধীনতা ভবনে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর সকাল ১১.০০ টায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এসএম মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট্রের সচিব (উপসচিব) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো: আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীরপ্রতীক , যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাহাজাহান, বীর প্রতীক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব বাহার রেজা চৌধুরী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মাজেদ, ট্রাস্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক (কল্যাণ) মো: আবুল কালাম আজাদ, কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি নঈমুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল লতিফ। আলোচনা সভায় জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১.৩০ টায় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ০৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) এক কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেন। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ মার্চের ভাষণের পরই সারা দেশ জুড়ে সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে এবং স্বাধীনতার আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ২৫ মার্চের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পর। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে “ডকুমেন্টারি হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।