insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
শনিবার বিকাল থেকেই পাহাড়ী ঢলের পানি আসতে শুরু করে। কৃষকের চোখের সামনে তলিয়ে যেতে থাকে হাঁড় ভাঙ্গা ফসলের জমি।
ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল সাহা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা তথ্যমতে উপজেলার বাদলা হাওর, সদর ইউনিয়নের এরশাদনগর, আলালের বন, ধনপুর, বেতেগাসহ এলংজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরে পানি ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘালয়, আসামের বিভিন্ন জায়গায় ২৬৭ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির পানি এসে হাওরে ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নাই। তারপরও যে পরিমাণ পানি ঢুকেছে তাতে হাওরের অনেক জমিই তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ জমি পানিতে তলিয়েছে তার সঠিক তথ্য আমার কাছে এখনও আসেনি।
ইটনা থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, বিরামহীনভাবে নদনদী ও খালবিলের পানি হঠাৎ করে বেড়ে ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, বেশিরভাগ জমির ধান এখনও কাঁচা-পাকা। তাই দাড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ২০০ একর জমি ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে।
কৃষক মাফিক মিয়া ‘এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এক তো সব জিনিসের দাম বাড়তি। হারাইলাম জমির ফসলও। অহন বছরটা ক্যামনে চলমু?’