insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121আমিনুল হক সাদী,কিশোরগঞ্জঃ এবার কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছেন ৪৮৬ অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার সম্প্রসারিত ভবনের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি
মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম গৃহহীন ও ভূমহীনদের মধ্যে এসব ঘর হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ড.সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। অন্যন্যদের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান আ.সাত্তার,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাছুমা আক্তার, মহিনন্দ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনসুর আলী, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিকদলের ব্যক্তিবর্গ,সাংবাদিকবৃন্দ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে ১২৪৭টি (৬১৬+৬৩১) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩য় ধাপে আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩২, করিমগঞ্জ ২৩,নিকলী ৫২,
পাকুন্দিয়া ১৮, অষ্টগ্রাম ৩২, হোসেনপুর ১০, কুলিয়ারচর ৫২, ভৈরব ৭৩, বাজিতপুর ৪৮, কটিয়াদী ১৩, তাড়াইল ৪৬, মিঠামইন ১৭৮ ও ইটনায় ৫১ টি ঘর’সহ জেলায় মোট ৬২৮টি ঘর প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া ও মজলিশপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ২৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৩য় পর্যায়ের ৬২৮টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান
রয়েছে যার মধ্যে ৪৮৬টি ঘর মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চূয়ালি উদ্বোধন করেন।
তিনধাপে এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট ২১৪৫টি “ক” শ্রেনির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ৪র্থ ধাপে আগামী নভেম্বর/২২ এর মধ্যে আরও ৩৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহনির্মাণের জন্য প্রায় ৫১.৭৪ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৬ কোটি ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।