Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কাবিননামায় স্বাক্ষর ছাড়াই ২৫ বছর;কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি – Pratidin Sangbad

কাবিননামায় স্বাক্ষর ছাড়াই ২৫ বছর;কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি

 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের আখরাবাজারস্থ সৈয়দ নজরুল চত্বরে আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন মফিজ। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা.ছিদ্দিক হোসাইনের স্বাক্ষরিক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান রশিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ জুবায়েদ। তিনি বলেন, আগামী ২৫ মে ২০২২কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।এই ইউনিটের সম্মেলন হয়েছিল আজ থেকে ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৭ সালে।
সেদিন কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি কিশোরগঞ্জের অহংকার মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ । সেই অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের শুধু সভাপতি এবং সাধারণ
সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মহোদয়গনের অনুমোদন নিতে যাওয়া হয়নি। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আতাউর রহমান এবং সাধারণ
সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ সাদী এভাবে অনুমোদনহীন ২৫ বছর বিস্ময়কর নজিরবিহীন নেতৃত্ব করে গেছেন। আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কমিটির আমরা বেশ কয়েকজন দূর্ভাগা সদস্য উপস্থিত আছি। এই সদর উপজেলা কমিটি এমন এক
কমিটি ছিল যেন কাবিননামায় অভিভাবকদের স্বাক্ষর ছিল না। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটি তার অধীনস্থ ১১টি ইউনিয়নে প্রথমত ২০০৩ সনে এবং পরে ২০১৪ সনে সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করেছিলো। ১১টি ইউনিয়নে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় এবং কোন কোন ইউনিয়নে সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করে উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন দেওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে আতাউর রহমান ও শরীফ সাদী ১১টি ইউনিয়নের ১টি ইউনিয়ন কমিটিরও অনুমোদন দেননি। কারণ তারা নিজেরা যেহেতু অনুমোদনহীন তাই হয়তো ১১টি ইউনিয়নকেও অনুমোদনহীন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কমিটি হিসেবে রেখে দিতে চেয়েছেন। এককথায় ১৯৯৭ সনে গঠিত সদর উপজেলা কমিটি এবং ২০১৪ সনের করা ইউনিয়ন

কমিটিগুলো গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটিগুলো যে কাউন্সিলার তালিকা করছে সেই তালিকা বৈধ হতে পারে না।এমন পরিস্থিতিতে ২৫ মে হয়তো সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন হতে পারে কিন্তু কাউন্সিল অধিবেশন করা গঠনতান্ত্রিক বিধানে সম্ভব নয়। ২৫মে সম্মেলন ও কাউন্সিলকে সামনে রেখে বর্তমান উপজেলা কমিটির সভাপতি ও কথিত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটির একজন নেতার বশংবদ হিসেবে এগারো
ইউনিয়নে একটি অবৈধ কাউন্সিলার তালিকা প্রনয়ণ করেছেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি।আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাহেবের মৃত্যুর ঠিক ১ বছর আগে থেকে অর্থাৎ আশরাফ ভাই যখন অসুস্থ হয়েছিলেন সেই সময় থেকে সেই নেতা আশরাফ ভাইকে পুঁজি করে বিত্ত-বৈভব ও
সম্পদ অর্জনের রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়ে। সদরের রাজনীতিকে তার হাতের মুঠোয় কুক্ষিগত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। সদরের গোছানো এই মাঠ সে তছনছ করে দিয়েছে।
তার নির্দেশে এখানে ইউনিয়নের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নিয়ে কাউন্সিলার তালিকায় সই নিয়েছে। এখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন বর্ধিত সভা করা হয়নি। এই কাউন্সিলার তালিকা ইউনিয়ন কমিটির
সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছেও দেওয়া হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সেই নেতার চেম্বারে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগনকে ডেকে নিয়ে সেখানে আগেই প্রস্তুত করে রাখা কাউন্সিলার তালিকায় স্বাক্ষর নিয়েছে।
জেলার সেই নেতা একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরী করে এই স্বাক্ষর আদায়ের কাজটি করে থাকেন। ইতিপূর্বে অধ্যাপক শরীফ সাদীর মত একজন মেধাবী রাজনৈতিক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার রেজুলেশন কাগজে এভাবেই ঘরে ঘরে লোক
পাঠিয়ে সই নিয়েছেন। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি ২৫ বছরের এই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমরা যারা এখানে উপস্থিত আছি তাদের কারো নাম কাউন্সিলার তালিকায় নেই। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান যাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মাফিক আওয়ামী লীগের
চেয়ারম্যান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া আছে, তাকেও কাউন্সিলার রাখা হয়নি। ইউনিয়নে বসবাসকারী জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠন সমূহের জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দের নাম নেই। ২৫ মে সম্মেলন ও
কাউন্সিলের হয়তো ২/৩ দিন আগে তা প্রকাশ করা হবে, যাতে অন্যকোন প্রার্থী ৩৬৬ জন কাউন্সিলারদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে না পারে।এম এ আজিজ ; মার্কা ভোটার তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে। এই নীল নকশার এম এ আজিজ মার্কা
কাউন্সিলার তালিকা দিয়ে ভোট করা হলে ভোটের ফলাফল যা হবার তাই হবে এবং তা
নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেনম, সদর
উপজেলার চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মামুন আল মাসুদ খান। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার রাজনীতি করি।

 

তৃণমূলের রাজনীতি করি। জনগণের ভোটে আমি সদরের চেয়ারম্যান হতে পেরেছি। আমি ছাত্রলীগের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ বছর রাজনীতি করলেও আজ সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের কাউন্সিলার হতে পরিনি। আমাকে কেনো বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাই। হোসেনপুর উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল যদি দলীয় কাউন্সিলার হতে পারে তাহলে সদরের স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে আমি কেনো হতে পারবো না?। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃণমূলের নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।