insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121শাফায়েত নূরুল; হাওড়ের বিশাল জলরাশি আর খোলামেলা পরিবেশে স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে এবং হাওড়ের দীগন্ত বিস্তৃত স্বচ্ছ জলরাশির বুকে, নৌকায় ঘুরে বেড়াতে প্রতিদিনই হাজারও পর্যটক আসছেন কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়ি বাঁধে। হাওড়ে ট্রলার ও নৌকায় রাত্রি যাপন করছেনও অনেক পর্যটক। প্রকৃতির এ নয়ানাভিরাম সৌন্দর্য্য উপভোগ করে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।
বিশাল জলরাশির বুকে বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট গ্রাম। যেন একেকটা ছোট ছোট দ্বীপ। হাওড় জুড়ে গলা ডুবিয়ে থাকা হিজল গাছের সারি, বা পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা করচের বন, কিংবা শুশুকের লাফ-ঝাঁপ মুহূর্তেই যে কারো মন ভালো করে দেবে।প্রকৃতির এমন অপূর্ব আয়োজন নিয়ে সেজেছে, কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়িবাঁধে।
যতদূর চোখ যায়,হাওড়ের টলমলে স্বচ্ছ জলের ধারা। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে, নির্মল জল আর আকাশের মিতালী উপভোগ করতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন,পর্যটকরা।সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি রাত কাটাচ্ছেন নৌকায়।
নিকলীর ছাতিরচর ইউনিয়নে পানির নিচে ডুবন্ত এক সবুজ বন।লেয়ারে লেয়ারে সাজানো সুবজ গাছ। গাছের বুক বরাবর পানিতে ভাসতে থাকবেন আপনিও। হুট করে দেখে আপনার কাছে মনে হতে পারে, এটা আরেক রাতারগুল। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ছাতিরচরে নৌকায় যেতে,প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। আর নৌকায় কয়েক ঘণ্টা ঘুরলেই দেখা মিলবে,নিকলীর রাতারগুলের অপার সৌন্দর্য্য।
বর্ষাকালে বিশাল এ হাওড় এলাকায় অথৈ জলরাশি দেখলে, বারবার সাগরের কথাই মনে করিয়ে দেবে।এখানে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হল,কুর্শা থেকে মোহরকোনা বিস্তৃত, ৭ কিলোমিটার ব্যাপী বেড়ীবাঁধ,কামালপুর থেকে দামপাড়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাঁধ,সোয়াইজনী ও নরসুন্দা নদীর ব্রীজ। হাওড়ের বিশাল জলরাশির মাঝে, দ্বীপ সদৃশ ডুবো গ্রাম সিংপুর,ঘোড়াদিঘা ও ছাতির চর।
প্রতিদিন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ঘুরে ঘুরে দেখছেন হাওর,নদী আর বিভিন্ন স্থাপনা। তবে হাওড়ে ঘুরতে এসে
নিকলীতে ভালো মানের খাবারের তেমন ব্যবস্থা না থাকলেও,স্থানীয় বাজারে হোটেলসহ রয়েছে,কয়েকটি রেস্তোরাঁ। সেখানে পাওয়া যাবে,নদীর তাজা মাছের স্বাদ।