আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০মণ ওজনের ‘ভাটির রাজা’ দাম ১২ লাখ

গ্রামের নাম কাজলা। গ্রামের নামের সাথে তার গায়ের রঙের অস্বাভাবিক মিল। ওজন ৩০ মণ। নাদুশ নুদুশ শরীর। পরিপাটি সাজ। চালচলন রাজার মতো। তাই শখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘ভাটির রাজা’। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের মধ্য কাজলা গ্রামের খামারী মো: মতিউর রহমান এই গরুটির মালিক। এই ভাটির রাজাই এবছর বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় গরু। দাবি করছেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম। ভাটির রাজাকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত লোক। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা। জানা গেছে, সামনে কুরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য খামারী মতিউর রহমান এই গরুটিকে লালন পালন করেছেন। ফ্রিজিয়ান (ব্ল্যাকবি অস্ট্রেলিয়ান) জাতের সাড়ে তিন বছর বয়সী (ছয় দাঁত) এই গরুটিকে এখন প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ কেজি করে খাবার দিতে হচ্ছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুষি, ধানের কুড়া।

খামারী মতিউর রহমান জানান, স্থানীয় একজন কৃষকের কাছ থেকে আড়াই বছর আগে এক বছর বয়সী ‘ভাটির রাজা’কে কিনেছিলেন তিনি। কেনার পর এটিকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যায় এর আকৃতি বাড়তে থাকে। গত বছর এটির ওজন ১ হাজার কেজি ছিল। তখন করোনার কারনে গরুটিকে বাজারে নেয়া হয়নি। এবছর এটির ওজন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ কেজির ওপরে। প্রাণী চিকিৎসকদের সহযোগিতায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফিতার মাপে গরুটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিদিন এর ওজন এখন দেড় থেকে দুই কেজি করে বাড়ছে বলে খামারী মতিউর রহমান জানান। ভালো দাম পেলে গরুটি তিনি বিক্রি করে দেবেন।

এর জন্য তিনি তার ০১৭৮০৪৬৮২৯৫ নম্বরে যোগাযোগের জন্য ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গরুটির মালিক একজন সফল উদ্যোক্তা। ‘আহমেদ এগ্রো’ নামে তার একটি খামার রয়েছে। এ খামারেই গরুটি লালন পালন হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় গরুটি পালনে বিভিন্ন টেকনিকেল সাপোর্ট দিয়েছে। গরুটি পালনে খামারী মতিউর রহমান কোনো ধরণের হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাড়াইলের এ গরুটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং সুন্দর গরু। কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় গরু। তার দাবি এই গরুটি বাংলাদেশেরও অন্যতম একটি বড় গরু। তিনি আশা করছেন এ বছর খামারী এটির ন্যায্য মূল্য পাবেন।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ