দেশের সর্ববৃহ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে। প্রতিবছরই লাখো মুসল্লি এ মাঠে জমায়েত হয়। ঈদ-উল আযহার ঈদ জামাতকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা কাজ করে যাচ্ছে।
আসন্ন পবিত্র ইদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। ২০১৬ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুপার মো: মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের হুমকি নেই। যেকোন ধরণের সমস্যা মোকাবেলা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ঈদের নামায আদায় করতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৫তম ঈদ-উল-আযহার জামাত। জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়। জামাত পরিচালনা করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়র’সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করেছেন।
এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা এবং টয়লেট। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম। দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবারও শোলাকিয়ায় লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।
তবে করোনা থেকে সতর্কতার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শুধুমাত্র জায়নামাজ ছাড়া ঈদগাহে কিছু আনা যাবে না। মোবাইল ফোন ও ছাতাও আনা যাবে না। এসময় তিনি সকলকে মাস্ক পড়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।
Leave a Reply