আজ ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

নিকলীতে স্মৃতি টিহ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছে দয়াল কুটির

শাফায়েত নূরুলঃ রাজা নেই রাজ্যও নেই। তবুও নিরব সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে রাজবাড়ি। আর সুবিধাবাদিরা এই নিরবতার সুযোগ নিয়েছে বারবার। কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় শেষ স্মৃতি টিহ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছে দয়াল কুটির।

১৩৪০ বঙ্গাব্দে ভারতীয় কারিগরের হাতে নির্মিত এই রাজাবাড়ির পুরোটা জুড়ে রয়েছে সিরামিকের কারুকাজ। গোড়া চাঁদ শাহৃর ছেলে রাজা দয়াল শাহ এই রাজবাড়ির রাজা ছিলেন।দয়াল শাহর নামে নামকরণ করা হয় এই রাজবাড়ির । রাজা নেই তবে রাজবাড়ি কেন। রাজার পওন হতে না হতেই উওরাধিকারদের মধ্যে দ্বন্ধ লাগে রাজবাড়ি রক্ষার না, রাজবাড়ি দখলের। বাড়ির দেওয়ালে আগাছা গাছে পরিণত হয়েছে । কিন্তু রাজপরিবারের উওরাধিকাররা ব্যর্থ হয়েছে রাজার সুনাম গৌরব ধরে রাখতে। আপন করে নিতে পারেনি তাদের ঐতিহ্য । সৃষ্টি হয়েছে এক বিকৃত ইতিহাস। রাজবাড়ি নিয়ে চলছে মনমালিণ্য। আর এর প্রভাব পড়েছে রাজবাড়ির উপর।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় রাজবাড়িটি দখল করে মুক্তিবাহিনীরা।এই বাড়ির মন্দির ব্যবহার করা হয়েছে জেল খানা হিসাবে।মুক্তিবাহিনীরা এই জেলখানায় রাজকারদের ধরে এনে বন্দি করে রাখতো। রাজপরিবারের লোকজন পাক বাহিনীর ভয়ে ভারতে সরণার্থি শিবিরে চলে যায়।স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাড়িটি নিজেদের দখলে আসে। কিন্তু দ্বন্দ থেকেই যায় নিজেদের মধ্যে।শেষ চার ওয়ারিশদের মধ্যে একজন তার অংশ বেঁচে দিয়েছে। সেই অংশ নিয়ে চলছে মামলা। শূধু কি বাড়ির লোকজনের কুনজর। পাড়াপ্রতিবেশির রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।

গোড়াচাঁদ শাহর স্ত্রীর স্মৃতি মঠ রয়েছে। মঠের চারিদিকে দেওয়া রয়েছে পিতলের এিশূল । পাড়া প্রতিবেশির ধারণা এই এিশুল য়ার কাছে থাকবে সে হবে অদৃশ্য শক্তির অধিকারী। যেই বলা সেই কাজ। একদিন রাতে পল্লি বিদ্যু উন্নয়নের অফিস থেকে মই নিয়ে এসে চুরি করে এিশুল। রেখে যায় মই।রাজবাড়িতে রয়েছে নাটকীয়ভাবে ডাকাতি করার ঘটনা।কোন ভয় ভীতি দেখিয়ে নয়। চিঠি দিয়ে ডাকাতেরা ডাকাতি করতে আসতো। চিঠিতে ডাকাতেরা দিনাতারিখ লিখে দেওয়া থাকতো। ডাকাতেরা এসে থলি ভর্তি টাকা নিয়ে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category