insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
"মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না"- প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় আরো ১৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। জেলার ৬টি উপজেলায় এই ১৫২টি ঘর বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
এর মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ৮টি, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ২টি, ভৈরব উপজেলায় ২৩টি, কটিয়াদী উপজেলায় ১০টি, তাড়াইল উপজেলায় ১৯টি এবং মিঠামইন উপজেলায় ৯০টি ঘর রয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ এসব ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, এনএসআই এর উপপরিচালক মীর মো. ইকবাল হোসেন, আরডিসি মো. উবায়দুর রহমান সাহেল প্রমুখসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে মোট ২১৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রদান করা হচ্ছে।
এর মধ্য দিয়ে জেলার প্রথম ভূমিহীনমুক্ত উপজেলার স্বীকৃতি পাচ্ছে কটিয়াদী উপজেলা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে কটিয়াদী উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম আরো জানান, ৪র্থ ধাপে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে আরও ৩৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৫১.৭৪ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৬ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।