insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে মাথায় আঘাতের পর পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে ফাতেমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহজাহানের আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর চর জব্বার থানার চরজবলু ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে স্ত্রী হত্যায় শাহজাহান দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ইং সালের ২৮ জুলাই রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত আকবর আলীর মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল কিনে শাহজাহানদের দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর ফাতেমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেন। যৌতুক না পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতনও করা হয়। একই বছর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা তার বড়বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ওই বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান। এরপর থেকে দুজনের কেউই ঘরে ফিরে যাননি। রাশেদা তাদের খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একইদিন ফাতেমার ভাই মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে ফাতেমার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হাই আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১০দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।