insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121কিশোরগঞ্জে পরকীয়ার জের ধরে তিন সন্তানের মাকে হত্যা মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে পুলিশ রিপোর্ট (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এ উপলক্ষে সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার গোলঘরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন।
তিনি জানান, গত শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার হারুয়া এলাকার চাঞ্চল্যকর গলা কেটে গৃহবধু রেকসোনা (৩৫) হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দকরণ ও সিআরপিসি, ১৮৯৮ এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণসহ মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে পুলিশ রিপোর্ট (চার্জশিট) দাখিল করেছে কিশোরগঞ্জ সদর থানা পুলিশ৷ কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অভিযোগপত্র নং-২৭৮, তারিখ- ২৫/৭/২০২২।
পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এর সার্বিক তদারকিতে দ্রুততম সময়ে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে৷
ঘটনার পর পরই তড়িৎ অভিযান চালিয়ে পরিহিত প্যান্টে রক্তমাখা অবস্থায়ই পুলিশ ঘাতক মামুন (৩০) কে হারুয়া এলাকা থেকে আটক করে৷
এ ঘটনায় হত্যাকারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ক্রিকেট খেলার ব্যাট উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে৷
এছাড়া তেরিপট্টিতে অবস্থিত ‘ওয়ান টু নাইনটি নাইন’ দোকান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু কেনার দৃশ্য সংবলিত সিসি ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক জব্দ ও বিক্রেতার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে৷
মামলার তদন্তে ভিকটিমের সাথে ঘাতকের (মামী-ভাগিনার) অবৈধ সম্পর্কের ফলে ঘাতকের নিজ পরিবারের ভাঙ্গন ও নানা টানাপোড়েনের কথা উঠে এসেছে৷ ঘাতক মামুন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একাই নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে মামলা তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে৷
হারুয়া এলাকার তাইজুলের (৪৫) সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালে এবং তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে৷ ঘাতক মামুনও বিবাহিত এবং ২০১৭ সালে বিয়ের পর তার ৪ বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে৷
প্রেস ব্রিফিংয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদ, পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) মুখলেছুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তরিকুল ইসলাম এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।