কিশোরগঞ্জে প্রেম করে বাড়ি ছাড়ার পর প্রেমিক স্বামীর বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪) আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের কালাইহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে স্বামীর বাড়ির লোকজন মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে দাবি করলেও স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর স্বামী বাদশা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
বাদশা কালাইহাটি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
নিহত শাহজাদী নাফিয়া ওরফে সাদিয়া তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের বান্দুলদিয়া গ্রামের মৃত শাহ আব্দুল হান্নানের মেয়ে। সে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বাদশার (২০) সাথে স্কুলছাত্রী সাদিয়ার (১৬)প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত ২৬ ফেব্রয়ারি সাদিয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন বাদশা। গোপনে কোর্টে এফিডেফিট করে তারা বিয়েও করে।
রবিবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে সাদিয়াকে মারপিট করতো বাদশা। তাদের দাবি মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। নিহতের মা ফাতেমা বেগম জানান, এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Leave a Reply