শাফায়েত নূরুলঃ কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জারইতলা ইউনিয়নের রোদারপুড্ডা বাজারে ওয়ারিশানদের সম্পত্তির জায়গায়তে ঘর নির্মণ করতে গেলে প্রভাবশালী একটি চক্র ঘর নির্মাণের বাঁধা নিষেধের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, নিকলী উপজেলা জারইতলা ইউনিয়নের রোদারপুড্ডা গ্রামে মৃত হাজী আব্দুল হেকিমের পুত্র সন্তান না থাকায় তিন কন্যা সন্তানের নামে তার সমস্ত সম্পদের ৫৮ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৯ শহতাংশ জায়গা (তিন কন্যা সন্তানের নামে) অংশ লিখে দেন। এরই মধ্যে বাকি দুইকন্যা সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের নামে কিছু অংশ তার ওয়ারিশানরা লিখে দিবেন বরে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। হাজী আব্দুল হেকিম মৃত্যুর আগে মেয়েদের বলে যান তাদের মা যতদিন জীবিত আছেন ততদিন মা সে সম্পদের মালিক থাকবেন। বেশ কয়েক বছর যাবত সেই সম্পদের কিছু অংশে মাটি ভরাট করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। মৃত হাজী আব্দুল হেকিম এর স্ত্রী জোহরা খাতুন জানান, সমস্ত দোকানের ভাড়ার টাকা তিনি নিচ্ছেন। এছাড়া জমির টাকা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিছুদিন যাবত অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা তাদের দখলীয় দোকান সহ কিছু জায়গা জবর দখলের পাঁয়তারা সহ ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে সকাল সাড়ে দশ ঘটিকার দিকে আরো একটি নতুন দোকান ঘর নির্মণ করলে এই চক্রটি বাধা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে হামিদা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে নিকলী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সেলিম আজাদ হেলিম প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার স্ত্রী মোছাঃ সুফিয়া খাতুন নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমিতে দলিলমূলে ৪ শতাংশ ভূমি খরিদ করেন বোনদের নিকট থেকে। কিন্তু আমার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে তার ক্রয়কৃত ভূমি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি বলে উল্লেখ করেন। ঘটনার দিন বাদীগণ আমার স্ত্রীর ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে চাইলে আমি তাতে বাধা প্রদান করি, কোন প্রকার চাঁদা দাবি করিনি। নিকলী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনসুর আলী আরিফ জানান, উভয় পক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।