insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
বর্তমানে বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে যার প্রভাব বিভিন্ন খাতে পড়েছে এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলো সমস্যার মধ্যে পড়েছে।
যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বর্তমানে বাংলাদেশ রিজার্ভ এর পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
তাছাড়া ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে ডলারের দাম 115 টাকার উপরে চলে গেছে খুচরা বাজারে।
এই অবস্থায় জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত জ্বালানির কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে প্রায় ৩০থেকে ৪০ শতাংশ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর প্রভাব ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে দেশের এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে আটটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সরকার থেকে।
তাছাড়া সকল অফিস আদালত আটটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। যার প্রভাব গ্রামগঞ্জে পড়েছে।
সরকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দৈনিক লোডশেডিং দেয়া হবে।
যার মধ্যে ঢাকার মধ্যে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেয়া হলেও কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় এর থেকে বেশি লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকেনা যার কারণে সমস্যায় পড়েছে সেখানে সাধারণ মানুষ।
এই অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিল ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শুক্রবার এবং শনিবার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে।
কারণ এই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে অর্থাৎ পাঁচ দিন ক্লাস করা হবে।
কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
আগামী বছরের সিদ্ধান্ত নেওয়া দুইদিন বন্ধের এই বছর থেকে চালু করা হবে অর্থাৎ চলতি বছর থেকে সপ্তাহে
দুই দিন বন্ধ থাকবে ৫ দিন ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যদি এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় তাহলে সরকারের উপকার হবে। তাছাড়া এই দুইদিনে শিক্ষার্থীরা প্রচুর পরিমাণ বাহিরে যেত রাজধানীতে চলাফেরা করত, গ্যারিতে চলাফেরা করত স্কুল-কলেজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা দরকার ছিল যা কম হবে সেই চিন্তা ভাবনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কবে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় খুব শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে ।