সোহাগ পাকুন্দিয়া ঃ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করলেন পাকুন্দিয়ার পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের একাংশ নেতৃবৃন্দ। অদ্য শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা মহাসড়কের ও পাকুন্দিয়া থানার সামনে ওয়াই জংশনে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এতে প্রায় এক ঘণ্টার জন্য সড়কে যানচলাচলের বিঘ্ন ঘটে ও রাস্তায় চরম ট্রাফিক জ্যাম হয়ে পড়লে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারী যানবাহনে চলমান যাত্রীরা।
উল্লেখ্য যে,পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটিতে মোঃনাজমুল আলমকে সভাপতি ও মোঃ তোফায়েল আহমেদ তুহিন কে সাধারণ সম্পাদক করে গত ৫-১০-২০২২ইং তারিখ রাতে কমিটি ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কমিটির নেতা কে পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাএলীগের নতুন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়াও পাকুন্দিয়া ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিও জানান বিক্ষুব্ধ নেতারা।
বির্তকিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে অদ্য সকাল ১১টার দিকে পদবঞ্চিত নেতারা পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে ঝাড়ু মিছিল বের করে, মিছিলটি পৌর বাজার ঘুরে বঙ্গবন্ধুর চত্বরে আসে এবং সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবি জানায়। একই সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল এবং নতুন করে সম্মেলন ডেকে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে সমাবেশ থেকে কঠিন হুশিয়ারি দেওয়া হয়।বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাএলীগের কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান ৩ নং চরফরাদী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের পরিশ্রমী ছাত্রনেতা সাকিবুল হাসান মুন্না, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা রাকিবুল হাসান হৃদয়, পৌর ছাএলীগে নেতা নাফিজ উদ্দিন নাদিম,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান হিমেল, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রুপম সাহা প্রমুখ। পদবঞ্চিত বক্তারা বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাএলীগের কমিটিতে ছাত্রদল নেতা ছাড়াও ছাত্রত্ব নেই এমন সদস্য এবং ইয়াবা,মাদক অপরাধের সাথে জড়িত সদস্য রয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ত্যাগী ও রাজপথের নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এ জন্য ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছে।একজন ত্যাগী নেতা কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে। বক্তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি কামনা করেন ও কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান।