insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121মলদোভার পুলিশ জানিয়েছে যে, রাশিয়ার সমর্থিত একটি নেটওয়ার্ক সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র মলদোভাকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছিল। তারা গ্রুপটির অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ রোববার জানায়, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আয়োজিত প্রতিবাদ বিক্ষোভের আড়ালে রুশ এজেন্টরা ব্যাপক গণ অসন্তোষ সৃষ্টির পায়তারা করছিল। আল-জাজিরা, টিআরটি
সম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে পলাতক রুশপন্থী নেতা অলিগার্চ ইলহান শোরএর দল বিভিন্ন বিক্ষোভ-সমাবেশের মাধ্যমে দেশটির ইউরোপপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। পুলিশ প্রধান ভাইয়োরেল সেমাউটিয়ানু বলেন, মস্কোপন্থী গ্রুপের ২৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মলদোভা কর্তৃপক্ষ জানান, বিক্ষোভের মাধ্যমে দেশকে অিিস্থতিশীল করার রাশিয়ার বিশেষ সংস্থার চেষ্টার খবর তারা পাওয়ার পর এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বিক্ষোভের পটভূমি
মুভমেন্ট ফর দ্য পিপল গ্রুপ কয়েকটি বিক্ষোভের আয়োজন করে। তারা দাবি করে যে, শীত মৌসুমে জ্বালানির বিল সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। এবং মলদোভার ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া উচিত হবে না। রুশপন্থী শোর পার্টি এসব দাবির প্রতি সমর্থন জানায়। এ ছাড়া তারা ইউরোপপন্থী প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দুর পদত্যাগও দাবি করছে।
মলদোভার ১০১ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টে শোর পার্টি ৬টি আসন রয়েছে। দলটির নেতা ইসরায়েল এন নির্বাসনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি ডলার লুটের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রাশিয়ার পক্ষে কাজ করার যে তালিকা করেছে তাদে তার নাম রয়েছে।
মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার ছোট দেশটির সীমান্ত পুলিশ গত রোববার জানায় যে, ১৮২ জন বিদেশীকে মলদোভায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এরা ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়েগার গ্রুপ প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়।
প্রভাব ধরে রাখতে চায় মস্কো
গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মলদোভা সামরিকভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। তবে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দান করার জন্য আবেদন করেছে। ক্রেমলিন সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেন ও মলদোভাকে নিজ প্রভাব বলয়ের মধ্যে ধরে রাখতে চায়। উভয় দেশই পাশ্চত্যের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।