insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মো. শরীফ মিয়া (২৩) নামে এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ মে) সকালে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের বানিয়াচান ব্রীজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. শরীফ মিয়া গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লী গ্রামের মো. মতিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীফ মিয়া নরসিংদীর বেলাবোতে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসে গতকাল রোববার নতুন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন। রোববার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী খয়রতের মোড় থেকে অটোরিকশা নিয়ে প্রথম ট্রিপে বের হওয়ার পর রাতে আর তিনি বাড়ি ফিরেনি। সোমবার সকালে নিকলী-করিমগঞ্জ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের বানিয়াচান ব্রীজের নিচে তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নিকলী ও করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত শরীফের মাথা থেঁতলানো, শরীর কাদামাখা এবং পরনের শার্ট ও মোবাইল পাশে পড়েছিলো। তার অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতেই শরীফকে দুর্বৃত্তরা পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে।
নিহত শরীফ মিয়ার ভগ্নিপতি আক্কাস বলেন,
রোববার দুপুরে শরিফ মিয়া জেলা সদরের লতিবাবাদ এলাকা থেকে তাকে নিয়ে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি অটোরিকশা কিনেন। বাড়িতে এসে রিকশাটি নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায়ই খয়রতের মোড় থেকে প্রথম যাত্রী নিয়ে আব্দুল হামিদ সড়কে বের হয়েছিলেন। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
নিহত শরীফ মিয়ার বড় ভাই কালাচাঁন বলেন, তার ভাই ইটভাটা থেকে ফিরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা কর্জা নিয়ে অটোরিকশাটি কিনেছিল। সোমবার সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ব্র্যাক থেকে ঋণ ওঠানোর কথা ছিল।
কালাচান কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার ভাই এক বছর আগে বিয়ে করেছিল তার বউ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একেএম শাহীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমি আমার করিমগঞ্জ থানার ওসি এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের মাথা থেতলানো ছিল। মাথার উপরে বড় একটি পাথর ছিল। আমাদের ধারণা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। নিহতের পরিবারের সদস্যদের বলেছি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে।