insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121কিশোরগঞ্জ,প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর খান রিয়াদ (১৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল ঘাতক মো. রবিউল আলম (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ জুন) রাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার কালশী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. রবিউল আলম হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজিপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
অন্যদিকে নিহত তানভীর খান রিয়াদ বীর হাজিপুর গ্রামের মো. স্বপন খানের ছেলে। সে পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াদের চাচাতো বোন লাবনী আক্তারের একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান দুখুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাবনীকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
গত ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাচা মো. স্বপন খান লাবনীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা স্বপন খানের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।
এ সময় স্বপন খানের ছেলে তানভীর খান রিয়াদ পিতার উপর হামলার প্রতিবাদ জানালে হামলাকারীরা তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে লাবনীর দেবর রবিউল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াদকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলে রিয়াদ লুটিয়ে পড়লে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনেরা উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত তানভীর খান রিয়াদের পিতা মো. স্বপন খান বাদী হয়ে মো. রবিউল আলমসহ ১২ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামি করে গত ৩০শে মে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু জানান, রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রবিউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্যও পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।