insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121নিজস্ব প্রতিবেদক :কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রিনা বেগম (৩৭) নামে এক নারী হোটেল শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ।শনিবার (১৭জুন) বিকেলে ভৈরবের কাঠপট্টি এলাকার একটি বাসা থেকে নারী শ্রমিক রিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের মামাত ভাই হোটেল শ্রমিক দুলাল (৫৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনার পর রিনা বেগমের মা রুপবানু খাতুন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর সোমবার (১৯ জুন) ভোরে ভৈরব বাজার কাঠপট্টি এলাকার একটি বাসা থেকে রিনা বেগম হত্যার মূল আসামী আজমান হোসাইন শাকিল (২৩) কে আটক করে পুলিশ।
শাকিল হবিগঞ্জের লাখাই থানা এলাকার কালাউক গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে।শাকিল ভৈরবের নিরালা হোটেলে কাজ করতো এবং সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতো।আটক হওয়ার পর শাকিল জানায় রিনাকে সে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।সোমবার (১৯জুন) ভোরে শাকিলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে হত্যার প্রকৃত ঘটনা।
পুলিশ সূত্র জানায়,মূলত দুই প্রেমিকের দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন তিনি।শেরপুরের নকলা থানা এলাকার রিনা বেগম দুই ছেলে ও মামাতো ভাই দুলালকে নিয়ে ভৈরবের কাঠপট্টি এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রিনা বেগম ও তার ছেলে এবং মামাতো ভাই ভৈরবের বিভিন্ন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।শাকিল নিরালা হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করার সুবাদে রিনার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাকিল জানতে পারেন দুলালের কথা। এ নিয়ে দুলালের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। শাকিল চেষ্টা করেও রিনা বেগমকে দুলালের কাছ থেকে সরাতে পারেননি।রিনা বেগম হোটেলে ধোয়ামুছার কাজ করতো। একই হোটেলে কাজ করার সুবাদে আসামীর সাথে রিনা বেগমের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তাহাদের সর্ম্পক শারীরিক সর্ম্পকে গড়ায়।
রিনা বেগম ও তাহার দুই ছেলে মোজাম্মেল (১৭), রিয়াজ (২০) এবং রিনা বেগমের কথিত স্বামী-দুলাল (৫৭) সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে সকলেই যার যার কাজে চলে যায়।এরপর সকাল সাড়ে ৯টার সময় শাকিল রিনা বেগমের বাসায় যায় এবং রিনা বেগমকে ফোন দিয়ে বাসায় আসার কথা বলে। রিনা বেগম শাকিলের ফোন পেয়ে বাসায় গেলে শাকিল রিনা বেগমকে বলে দুলালের জন্যে আমার বিভিন্ন অসুবিধা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়া কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিনা বেগম শাকিলের উপর রাগান্বিত হয়ে ঘরে থাকা ১টা ইট নিয়ে নিজেই নিজের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে প্রথমে শাকিল তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে কিন্তু রিনা বেগম শান্ত হয় না। একপর্যায়ে আসামী শাকিল পিছন দিক থেকে রিনা বেগমের গলায় চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য শাকিল প্রথমে ভিকটিমের গলায় তাহার ওড়না দিয়া প্যাচায় ও গিট দেয় এবং দ্রুত বাসা থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় রিনা বেগমের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ও ১টি এলইডি টিভি নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার (২০জুন) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে হাজির হয়ে শাকিল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে এবং আদালতের মাধ্যমে শাকিলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।