Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
সুখের অন্বেষা-সুলেখা আক্তার শান্তা – Pratidin Sangbad

সুখের অন্বেষা-সুলেখা আক্তার শান্তা

ডেস্ক: গ্রামে দুই চার জন অবস্থাপণ্য ব্যক্তি আছে। জোবায়েদ আহমেদ তাদের চেয়েও বিত্তবান। অবস্থা ভালো হলে কি হবে যেমন হিসাবি জোবায়েদ আহমেদ তেমন তার ছেলেরা। খরচের ভয়ে কখনো তারা ভালো মন্দ কিছু খেয়ে দেখেনা। ব্যাগ নিয়ে বাজারে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরে এসে বলেন, বাজারে কিছুই পাওয়া যায়নি। যাহোক করে আজকে চালিয়ে নাও। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বউকে একই কথা বলে দেন, আজ রান্না হবে ভাত আর ডাল। মজা করে রাঁধলে ডাল ছাড়া আর কিছু লাগে না। সবাই জোবায়েদ আহমেদের এমন আচরণ বীতশ্রদ্ধ। বউ জাহানার বলেন, এ কথা শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গেছে। আপনার বাড়িতে আসার পর ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি বলে আসছেন একই কথা। আজ রান্না হবে ভাত আর ডাল। ঠিকমতো রান্না করতে পারলে ডালের কাছে মাছ মাংস কিছু না। কোন বিশেষ দিনে হয়তো একটু ভালো মন্দ রান্না হয়। জোবায়েদ আহমেদ ভাবেন কথাটা তো ঠিকই বলছে। আমি তো তাই করি। সংসার নিয়ন্ত্রণ জোবায়েদ আহমেদ
ভালোই জানেন। সন্তানদের পড়ালেখা প্রতি তার বিচিত্র মনোভাব। তার কথা, পড়ালেখা করিয়ে কি হবে! পড়ালেখা শিখলে তো অন্যের চাকরি করবে! আমার অনেক জমিজমা এগুলো দেখবে কে! রোকন, পলাশ, দবির, সাইফুল, এরা ঘুরেফিরে খায় দায়, আর মামুন বাবার জমি খেতের কাজ করে। কাজ করার পরও তাকে বকা খেতে হয়। সব সময় বাবা আর বড় দুই ভাই রোকন এবং পলাশ মামুনকে ঝাড়ির উপরেই রাখে। কিন্তু সে চুপচাপ। কাজে থেকে ফিরে এসে ছোট দুই ভাই দবির আর সাইফুলকে গোসল করাবে খাওয়াবে তারপর নিজে খাবে। মামুনের মা নেই। বাবা তার মাকে উদ্দেশ্য করে গালি দেয় বান্দির পোলা, তোর মা ছিল বান্দি। মামুনের মা ফুলি জোবায়েদ আহমেদের বাড়িতে কাজ করতেন।

ফুলিকে রাখা হয়েছিল জোবায়দ আহমেদের মা সুফিয়া বেগমের খেদমত করতে। মাকে দেখাশোনার কাজটি ফুলি নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন। সুফিয়া দেখলেন ফুলি সবদিকেই ভালো। তিনি ভাবতে থাকলেন কি করে মেয়েটাকে বেঁধে রাখা যায়। তিনি ফুলিকে ছেলের বউ করে নিলেন। বিয়ের এক দুই বছরের মাথায় ফুলিকে জোবায়ের আহমেদ দেখতে পারেন না। সে বলেন, যে মেয়ে আমাদের বাড়ি কাজ করতো তাকে আমার মা ছেলের বউ করেছেন। এই মেয়ে নিয়ে আমি ঘর করবো না। তাছাড়া এই মেয়ের কোন সন্তানও হয় না। সুফিয়া ছেলেকে বুঝান সন্তান সে তো আল্লাহর দান। তিনি যখন ভালো মনে করবেন তখন দিবেন। সুফিয়ার এই বুঝে কোন কাজ হয় না। জোবায়েদ আহমেদ কাউকে কিছু না জানিয়ে বিয়ে করে আনে জাহানারাকে। সে মাকে বলেন, এখন বউ আমার মন মতো হয়েছে। এখন আমি সংসার নিয়ে সুখী। জাহানার এক এক করে দুই ছেলে সন্তান হয় রোকন আর পলাশ। তারপরেই হয় ফুলির সন্তান। ফুলি ছেলে মামুনকে নিয়ে খুব খুশি। ‌সে সন্তান পেয়ে স্বামীর সব জ্বালা যন্ত্রণা ভুলে যায়। শাশুড়ি সুফিয়া মারা যাওয়ার পর সংসারিক অশান্তি তীব্র হয়। সংসারে
যেন ঠাই নেই ফুলির। ফুলি কি করবে কোথায় যাবে। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর যেন স্বামীর বাড়ি তার সব। ফুলির বাবার বাড়ির অবস্থাও তেমন ভালো না। তার বাবা মা ও নেই যে তাদের কাছে গিয়ে উঠবে। স্বামীর বকাঝকা মারধর সহ্য করে হলেও এই বাড়িতেই থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত গঞ্জনা আর অবহেলায় এক সময় ফুলি নানা অসুখে জড়িয়ে যান।

এইভাবে তাকে বিছনায় বছর পাঁচ পড়ে থাকতে হয়। চিকিৎসা না হওয়ায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ফুলির মৃত্যুর পর মামুন যেন কেমন হয়ে যায়। বড় দুই ভাই রোকন আর পলাশ তাকে মারে। সে মার খেয়েও কখনো বাবার কাছে কিছু বলে না। মামুন সব সময় অসহায়ের মতো থাকে। মুখে যেন তার কালো মেঘের ছায়া পড়ে আছে। এমন অবস্থা দেখে বাড়ির অন্য চাচিরা জিজ্ঞেস করেন, মামুন তুই খেয়েছিস? মামুন না খেয়েও বলে, না খেয়েছি। তাহলে তোর মুখ এত শুকনা কেন? মামুন ছোট হলেও অত না বুঝলেও এতোটুক বোঝে। সবাই খোঁজ নেয় কিন্তু কেউ ভাতের প্লেট নিয়ে এগিয়ে আসে না। যাইহোক বাপ তো ক'টা খেতে দেন।

জাহানার বড় দুই ছেলে রোকন আর পলাশের পর আরো দুই ছেলে হয়। নাম দবির আর সাইফুল। এরা বয়সে এক বছরের ছোট বড়। জাহানারা সংসারের কাজ করে ছোট দুই বাচ্চাকে দেখার সময় পায় না। বড় সংসার কাজকর্ম অনেক, সবকিছু
একাই তাকে সামলাতে হয়। স্বামী জোবায়েদ একজন কাজের লোকও রাখতে দেন না। বাঁচো মরো নিজের কাজ নিজে করো। মামুনকে খেতে কাজ বাড়ির কাজ দুই করতে হয়। দবির আর সাইফুল দুই ভাই মামুনের কাছেই থাকতে ভালোবাসে। আপন দুই বড় ভাই রোকন ও পলাশ তাদের কাছে যায় না।

জোবায়েদ আহমেদ বড় দুই ছেলে রোকন আর পলাশকে এক সঙ্গে বিদেশ পাঠান। মামুনকে রাখে সংসার দেখার জন্য। মামুনকে কেউ বিদেশ পাঠানোর কথা বললে জোবায়েদ আহমেদ বলেন ও কি বিদেশ করবে? ও থাক সংসারের জন্য। দুনিয়ার কিছু বুঝেনা ও করবে বিদেশ! ওর পিছনে বিদেশ যেতে যে টাকা খরচ করব সেই টাকাটা জলে যাবে। মামুনও ভাবে, তার ব্যাপারে বাবা যেটা করেন সেটাই তার কাছে ভালো। রোকন আর পলাশ বেশ কয়েক বছর হয়েছে বিদেশ আছে। টাকা পয়সাও পাঠায় বেশ ভালো। মা, বাবা ছোট দুই ভাই দবির আর সাইফুলের জন্য বিদেশ থেকে অনেক কিছু পাঠায়। কিন্তু মামুনের জন্য কখনো কিছু পাঠায় না। এসব নিয়ে মামুনের কোন আফসোস নেই। লোকজন বলেন মামুনকে তোর দুভাই সবার জন্য সবকিছু পাঠালেও তো তোর জন্য কিছু পাঠায় না। মামুন বলে, আমার কিছু লাগবে না, তাই
পাঠায় না।
জোবায়েদকে সবাই বলেন, বাবা হিসেবে মামুনের জন্য কোন কিছু করলে না। মামুনকে নিয়ে মনে তার অন্য পরিকল্পনা। সে সিদ্ধান্ত নেয় মামুনকে বিয়ে করিয়ে সেখান থেকে যৌতুক এনে মামুনকে বিদেশ পাঠাবে। এমন সিদ্ধান্তে মামুন কিছু বলে না। বাবা যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই তার সিদ্ধান্ত। মামুনের বিয়ে জন্য পাত্রী পাওয়া যায় কিন্তু তারা যৌতুক দিতে চায় না। কয়েক জায়গায় মেয়ে দেখার পর জোবায়েদ আহমেদের মিলিকে পছন্দ হয়। কিন্তু মিলির বাবা কোন যৌতুক দিবেন না।
যৌতুক না দিলেও জোবায়েদ ছেলের বউ হিসেবে মিলিকেই ঘরে তুলবেন। কারণ মিলি দেখতে সুন্দর। সেই সৌন্দর্যেই তার ঘর উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। জোবায়েদ আহমেদের অবস্থা আগের চেয়ে আরো ভালো হলেও তার কৃপণতার অভ্যাস যায় না।
ছেলের বউকে তেমন কোনো ভালো কাপড়-চোপড় দেন না। প্রয়োজনীয় কোন জিনিস চাইলে তার চিরাচরিত কথা, যা আছে তাই দিয়ে চলো। মামুন ও কোন জিনিস মিলিকে এনে দেয় না। টাকা পাবে কোথায়। সংসারে যতই কাজ কাম করুক
না কেন মামুনকে হাতে কোন টাকা দেয় না। সে হচ্ছে বিনা পয়সার পারিবারিক কামলা।
রোকন আর পলাশ বিদেশ থেকে আসে। জোবায়ের আহমেদ এই দুই ছেলেকে বড় আয়োজন করে বিয়ে করায়। সেই দুই বউকে রাখেন ভালো অবস্থায়। মিলি বলে, আমিও তো আপনার ছেলের বউ। ওই দুই বউকে যদি ভালো অবস্থায় রাখেন আমাকে কেন অবহেলায় রাখেন? শ্বশুর বলেন, তাদের স্বামীরে ইনকাম ভালো। তোমার স্বামীর ইনকাম ভালো না তাই তুমি এমন অবস্থায় থাকো। আপনি বাবা আপনি তো এমন বৈষম্য করতে পারেন না। সন্তানদের দুই দৃষ্টিতে দেখেন। আমি বাবা বলেই করলাম সূক্ষ্ম বিচার। যার যেমন ইনকাম তার তেমন থাকার দরকার।  মিলি স্বামীকে বলে, এমন ভাবে তুমি কতদিন থাকবা?
কেন কি হইছে? কোন কিছু লাগলে বাবার কাছে চাইতে হয় এটা কি তোমার কাছে ভালো লাগে?
কি করব বাবার সাথে কোন কিছু বলার সাহস নাই আমার। খাওয়া পড়া সব দিকেই তোমার বাবা তোমাকে কমতিতে রাখে। বলো তুমি আলাদা খাবা। তোমার ভাগের সম্পত্তি তোমাকে বুঝিয়ে দিক।
না আমি এটা বাবাকে বলতে পারব না। কেন পারবে না? তুমি বলবা না হয় আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাব। বউয়ের চাপে মামুন তার বাবাকে বলে সে আলাদা হবে। জোবায়েদ আহমেদ ছেলেকে বলেন, আলাদা হও কিন্তু আমার সম্পত্তি দেব না। মিলি একথা জানার পর বলে, ঠিক আছে। বাবার সংসারে গাধার খাটুনি খেটেও কোন কিছুই তো পাও না। বাইরে এই খাটুনি করলে চলার মতো কিছু তো হবেই। সেই ভাবেই চলবা। দেখবা সব দিকে ভালো থাকবে তুমি।
মামুন বাবার কাছ থেকে জমি খেত কিছুই পায় না। পায় শুধু অসহযোগিতা। আলাদা রান্না করে খাবে সে জন্য হাড়ি পাতিলও দেওয়া হয় না। ধার দেনা করে হাড়ি পাতিল কিনে আনে। ‌গায়ে খেটে মামুনের সংসার ভালই চলে। সংসারে তার এক ছেলে এক মেয়ে। আল্লাহর রহমতে ছেলে মেয়ে বউ নিয়ে ভাল আছে মামুন। দবির আর সাইফুল মামুনের সঙ্গে খায়।
তাতে মামুনের কোন আপত্তি নাই। খাইলে কোন কিছু কমে না। কাউকে খাওয়াতে পারলে বরং আল্লাহ তায়ালার রহমত পাওয়া যায়। রোকন আর পলাশ বিদেশ থেকে বউ বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু পাঠায়। তাতে মামুনের বাচ্চাদের মন খারাপ হয়। বাবা তুমিও বিদেশ গিয়ে আমাদের জন্য এমন খেলনা পাঠাবে। মিলিও স্বামীর কাছে আবদার করে তুমি

বিদেশ যাও, তুমিও তোমার ছেলে মেয়ে বউকে ভালো রাখো। মামুনের আগ্রহ জাগে বিদেশ যাওয়ার। কিন্তু টাকা পাবে কোথায়? তার দুই ভাইও তাকে বিদেশ নিবে না। এমনকি তার বাবা টাকা দিয়েও সাহায্য করবে না।
মামুন পরিবারে কাউকে কিছু না জানিয়ে চোরাই ভাবে দালালের মাধ্যমে বিদেশ যায়। বিদেশে যাওয়ার টাকা পরে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দালাল বিদেশ পাঠানোর টাকার জন্য চাপ দেয়। মামুন সে কথা স্ত্রী মিলিকে জানায়।
মিলি টাকার জন্য পাগলের মতো এর ওর কাছে যায়। কেউ তাকে টাকা দেয় না। তাদেরকে দালাল টাকার জন্য প্রচন্ড চাপ দেয়। মিলি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সুদের উপর টাকা নিয়ে দালালকে দেয়। নেওয়া টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সম্ভব হয় না। আসল টাকা, মাসের সুদ দিতে না পারায় দেনার পরিমাণ বাড়তে থাকে। মামুন অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ায় কোন কাজও পায় না। বিদেশে তার নিজের খাবার জোটানো কঠিন হয়ে পড়ে। এদিকে বউ বাচ্চাদেরও অনাহারে দিন যাচ্ছে। বিভিন্ন মানুষ এসে টাকার জন্য মিলিকে চাপ দেয়। মিলি আজ দেই কাল দেই করে মানুষকে ঘুরায়।
পাওনাদারেরা অধৈর্য হয়ে মিলিকে বকাঝকা করে এমনকি নানা খারাপ কথা বলে। প্রচন্ড চাপে মিলি দিশেহারা হয়ে পড়ে। এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাও করে। কিন্তু বাচ্চাদের কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। মিলি ক্রমাগত মানসিক যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ‌ওদিকে বিদেশে মামুনের খুবই খারাপ অবস্থা। এদিকে বাচ্চাদের মুখে খাবার দিতে পারে না তার উপর বিভিন্ন লোকের টাকার চাপ। সে ভাবে, সম্পত্তিতে স্বামীর অংশ ভাগ চাইবে। অন্ততপক্ষে জমি জমা বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করা যাবে। শ্বশুরের কাছে জমি ভাগের কথা বললে। জোবায়েদ আহমেদ বলেন, তোমার এত লোভ কেন?
আমার ছেলেকে তুমি বিদেশ পাঠাইছো লোভের ঠেলায়। এখন এসেছো ছেলের অংশ বুঝে নিয়ে বিক্রি করার জন্য। আমি তা হতে দেব না। আমার ছেলে বিদেশে মরে যাক আর বেঁচে থাক। মিলির এমন জ্বালা সহ্য করতে পারে না। সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সকালে ছেলেমেয়ে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে। সবাই জিজ্ঞেস করে, তোরা কান্নাকাটি করিস কেন? আমার মা ঘুম থেকে উঠছে না। কোন নড়াচড়াও করে না। সবাই কাছে যেয়ে দেখে, মিলি মারা গেছে। সবাই আফসোস করে,
এখন ছেলে মেয়ের কি দশা হবে! ওইদিকে মামুনের কি অবস্থা। জোবায়েদ আহমেদকে সবাই বলেন, যদি ছেলেকে সুদৃষ্টিতে দেখতো তাহলে এই বউ বাচ্চাদের এ দশা হতো না। ছোটকাল থেকেই এই ছেলেটাকে ঠকিয়ে যাচ্ছে।
মিলির বাবা-মা সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে। তারা এসে তাড়াতাড়ি মেয়ের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন। পাওনাদারেরা এসে হাজির হয়। মামুন বিদেশ থেকে ফোন করে পাওনাদারদের আশ্বস্ত করে। বলে, আমার বউয়ের উপর তোমরা কেউ দাবি রেখো না। আমার দেনা পরিশোধে যতদিন লাগে যত বছর লাগে, যত কষ্টই হোক সবার টাকায় পরিশোধ করে আমি দেশে আসবো। পাওনাদারদের সেই কথাতেই আশ্বস্ত হতে হয়। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে কান পাতলে শোনা যাবে এই একই কথার প্রতিধ্বনি। বিদেশ যাত্রা বিষয়ক জটিলতায় অথবা অশান্তিতে ধুঁকছে অনেকে পরিবার।‌ জীবনের অর্থ খুঁজে হয়তো জীবনের পুরোটাই কেটে যাবে মামুনের।