নিজস্ব প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জে ৮ম শ্রেণীর মাদ্রাসাছাত্রী খাদিজা আক্তার(১৬) কে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আল মামুন(২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওটেছে।
রবিবার(২৩ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকান্দি ইমাম হোসেন এর চায়ের দোখানের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই যুবকের মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই পাঁছজনের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকার আ: আওয়ালের ছেলে মো:সাজন মিয়া(১৯) ও মো: রাজন মিয়া(২৫), মৃত মীর হোসেনের ছেলে আ: আওয়াল ও যশোদল ব্রাহ্মণ কান্দি এলাকার ফরহাদের ছেলে ফাহিম(২০),ব্রাহ্মণ কান্দি এলাকা বিল্লালের ছেলে রফিকুল ইসলাম(২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাদিজা আক্তার মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বখাটে মো. ফাহিম মো. সাজন সবসময় উত্ত্যক্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দেন।ওদিন খাদিজা মাদ্রাসার সুপার ও তার মামা আল মামুনকে জানালে তিনি আসামী সাজন মিয়া, ফাহিম মিয়া বাড়িতে গিয়া তার বাবা মাকে বিষয়টি জানান ও অনুরোধ করেন ভাগ্নীকে বিরক্ত না করতে।এতে সাজন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহিমসহ ৫/৭ জন ইমাম হোসেনের চা দোখানের সামনের রাস্তায় সাজন দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক ভাবে জখম করে চলে যায়।স্থানীয়রা আহত আল মামুনকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মাওলানা আব্দুস সাত্তার মাদানি (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাহমুদুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বখাটে ছেলেরা আমার মাদ্রাসার ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছে আমার কাছে ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।