insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121চৌহালী প্রতিনিধিঃপল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষেন কর্মসুচি-৩ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের পাকা সড়ক রক্ষনাবেক্ষেনের জন্য ১০ জন মহিলা কর্মী নিয়োগ প্রাপ্ত হন এলজিইডি অধীনে। উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের পাকা সড়ক রক্ষনাবেক্ষেনের জন্য ১০ জন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন সড়কে রক্ষনাবেক্ষেনের কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন।
জানা যায়, ২০২০ সালে ৪ বছরের জন্য তারা নিয়োগ প্রাপ্ত হন। মোছাঃ মাজদা খাতুন, মোছাঃ সবুরা খাতুন, মোছাঃ আমেনা খাতুন, মোছাঃ জয়নব খাতুন ও মোছাঃ কুলসুম খাতুন খাতা কলমে ও নামে মাত্রই এরা কিন্তু সরোজিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চৌহালী উপজেলা এলজিইডি অফিসের সিও আঃ রশিদ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত ৫জনকে বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত বদলী অন্য ৫ জনকে দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত কাজ চালাচ্ছে। এর আগেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলা থেকে বিভাগীয় মামলা খেয়ে চৌহালী উপজেলায় তাকে বদলি করে দেওয়া হয়।
খাষকাউলিয়া টিমের অফিসিয়াল সভাপতি মোছাঃ মাদেজা খাতুন, তিনি নামেই মাত্র নিয়োগ পান তার বেতন ভাতা ভোগ করছেন মোছাঃ শাহানাজ খাতুন নামে আরেকজন। এমনকি স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনও করেন তিনি। শুধু তাই নয় খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে মোছাঃ সবুরা খাতুন এর পরিবর্তন মোছাঃ জানু খাতুন, মোছাঃ আমেনা খাতুন এর পরিবর্তে সূর্য বানু, মোছাঃ জয়নাব এর পরিবর্তে মোছাঃ খোদেজা খাতুন এবং মোছাঃ কুলছুম এর পরিবর্তে মোছাঃ শহিতন খাতুন বদলি কাজ করছেন, যা সরেজমিনে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এই ১০ জন নারী কর্মীর বেতন ভাতা হয় সভাপতি ও সেক্রেটারির স্বাক্ষরে । কিন্তু সভাপতির হয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্বাক্ষর করেন মাজেদার পরিবর্তে বদলিকৃত নারী সাহানাজ খাতুন। যাহা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি সিও আঃ রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, আপনারা যে যা পারেন করতে থাকেন আমি কোন পরোয়া করি না আমি আমার ইচ্ছামতই কাজ চালাবো। আর আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সব কিছুই জানেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিদ্যুৎ বলেন, বদলি কাজ করার বিধান রয়েছে তবে সর্বোচ্চ তিন দিন করতে পারবে কিন্তু সিও আঃ রশিদ দীর্ঘদিন যাবত বদলি কাজ কি ভাবে করাচ্ছে তা আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রকাশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বদলির ব্যাপারটা আমি আপনাদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম, কি ভাবে সিও আঃ রশিদ দীর্ঘদিন যাবত ৫ জন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী বাদ দিয়ে অন্য কর্মী দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কোন আইনে করাচ্ছেন সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনত ব্যবস্থা নিবো।