Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জের আরো ২৭২ ভূমিহীন-গৃহহীন পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর  – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জের আরো ২৭২ ভূমিহীন-গৃহহীন পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর 

নিজস্ব প্রতিবেদক:আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২য় ধাপে ৪র্থ পর্যায়ে কিশোরগঞ্জের ২৭২ টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। আগামী বুধবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশের ২২ হাজার ১০১ টি গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা কালেক্টরেট সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ. টি. এম ফরহাদ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী  উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জানান, কিশোরগঞ্জের ২৭২ টি পরিবারের মধ্যে করিমগঞ্জে ১২ টি, হোসেনপুরে ২২ টি, মিঠামইনে ১২ টি, নিকলীতে ২০ টি, বাজিতপুরে ৩২ টি, কুলিয়ারচরে ৩৬ টি, তাড়াইলে ৪৬ টি ও ইটনায় ৯২ টি। এরমধ্যে ইটনা ও তাড়াইল উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহের কবুলিয়ত দলিল,নামজারি, গৃহ প্রদানের সনদ, ডিসিআর কপি ও ঘরের চাবি প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট বরাদ্দকৃত গৃহের সংখ্যা ২৭৫৮ টি। ইতোমধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে ২২১১ টি গৃহ প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ৪র্থ পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট বরাদ্দকৃত গৃহের মধ্যে চলতি বছর ২২ মার্চ ১ম ধাপে ৩১ হাজার ১৫৫ টি গৃহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য এ প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৫০ টি ও মজলিশপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০ টিসহ মোট ২৭০ টি গৃহ প্রদান করা হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ টি ও করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ টি গৃহ নির্মাণ কর হয়েছে। ইতোপূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, ভৈরব ও অষ্টগ্রাম এ পাঁচটি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, প্রত্যেক উপজেলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরগুলো স্থানীয় গ্রোথ সেন্টারের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভূমিহীন-গৃহহীন ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য,কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা সহজলভ্য হয়। ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় কিশোরগঞ্জ জেলায় আশ্রয়ণের জন্য উদ্ধার করা খাস জমি ৬৬.৯৮ একর, যার স্থানীয় বাজার মূল্য ৯৫ কোটি ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ১.১২৮২ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে, যার স্থানীয় বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪ হাজার ২৯০ টাকা। চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।