insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121স্টাফ রিপোর্টার:কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কোনো ধরণের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ভাঙা হচ্ছে পুরাতন ব্যাটারি, আর এ ব্যাটারি পুড়িয়েই তৈরি করা হচ্ছে সিসা। উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত-নিকলী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার নেতা মার্কেটে তৈরি করা হয়েছে সিসার কারখানাটি।
কারখানায় ব্যাটারির অ্যাসিডের তীব্র গন্ধে নাভিশ্বাস ওঠছে মানুষজনের। ব্যাটারি পুড়ানোর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকা। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আশপাশের মানুষ ও গবাদিপশু। ইতিমধ্যে মারা গেছে অনেকের হাঁস-মুরগী এবং গবাদিপশু।
এছাড়া কারখানার বর্জ্য যাচ্ছে হাওর-জলাশয় ও আবাদি জমিতে। ফলে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, বিপন্ন হচ্ছে প্রতিবেশ।
এ রকম পরিস্থিতিতে অবৈধ ব্যাটারি পোড়ানো কারখানা ও নিষিদ্ধ সিসা গলানো বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের খয়রত এলাকায় গুনধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক হেদায়েত উল্লাহ।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হাসান।
এতে অন্যদের মধ্যে গুনধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবু সজিব, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আরজু ফকির, সাবেক সভাপতি ইকরামুল হক, সদস্য সিরাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা ফেরদৌস মিয়া, সদস্য এস এম মাসুম, সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, কারখানায় দিনের আলোয় শ্রমিকেরা ব্যাটারি ভাঙার কাজ করলেও রাতে বেশ কয়েকটি বড় চুল্লিতে ভাঙারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়। বিষাক্ত সালফিউরিক অ্যাসিডসহ ব্যাটারির ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় যত্রতত্র। ফলে জলাশয়, আবাদি জমিতে বিষাক্ততা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছসহ জলজ প্রাণি।
কারখানার ধোঁয়া থেকে আশপাশের গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্করা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের শিকার হচ্ছেন। প্রায় বছরখানেক আগে অবৈধ সিসা কারখানাটি তৈরি করা হয়েছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে কারখানাটি একবার বন্ধও করে দিয়েছিল। এরপর মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে কয়েক মাস ধরে সেখানে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে পরিবেশ বিধ্বংসী এ অবৈধ কারখানাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।