-
- কিশোরগঞ্জ
- করিমগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
- Update Time : আগস্ট, ২৭, ২০২৩, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
- 32 View

স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত বিদ্যালয়টির অন্তত ১০ জন ছাত্রীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিন দিনের পর দিন ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করে আসছেন। তিনি ছাত্রীদের শরীরে বাজেভাবে হাত দেন। তাদের শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়া ছাড়াও মানসিক নির্যাতন ও শ্রেণিকক্ষে অপমান করেন। গণিত বিষয়ের এই শিক্ষক। ক্লাস চলাকালে শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করা হয়। অভিযোগকারী ছাত্রীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা রয়েছে। এদিকে গত ২০শে আগস্ট বিদ্যালয়ের ৩১ জন ছাত্রী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিনসহ ২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাত্রীদের অকথ্য গালিগালাজ করার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম সাথীর কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এর সূত্র ধরে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে অন্তত ১০ জন ছাত্রী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছে। তারা এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে ভিডিও বক্তব্য দিয়েছে। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব অভিযোগের একটিরও সত্যতা নেই। বিদ্যালয়ের একটি পক্ষ প্রথম থেকেই আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে। তারাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে মেয়েদের দিয়ে অভিযোগগুলো সাজিয়েছেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক তানভীর আহমেদ এ ব্যাপারে কলকাঠি নাড়ছেন।
সূত্র জানিয়েছে, মোহাম্মদ সামছ উদ্দিন ২০০০ সালে বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১১ সালে সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষককে ডিঙিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানায়, একবার অসুস্থতার কারণে ৩ দিন স্কুলে যেতে পারিনি। সামছ উদ্দিন স্যার বলেন, ক্লাস রুমের ক্যাপ্টেন কে? আমি জবাব দিতেই তিনি বলেন, উপরের ক্লাসটা দেখে এসো তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছে কিনা। আমি সেখানে যাই, তখন স্যার আমাকে দুইবার গায়ে টাচ করে। এরপর থেকেই স্যার প্রায় সময় আমার গায়ে টাচ করে। স্যারকে দেখলেই এখন আমার ভয় লাগে। স্যারের ভয়ে এখন আমি সবসময় পিছনের বেঞ্চে বসি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগটি পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের কাছে এটি পাঠিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে, তাই আমি চাই প্রশাসনিকভাবে এগুলোর তদন্ত হোক।
এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ