আজ ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

স্টাফ রিপোর্টার:কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মাইজচর ইউনিয়নে একটি জনসভায় কেন্দ্রিয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুব্রত পাল বাজিতপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, মাইজচর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজী গরু চুরের অপরাধে জেলে হাজতে ছিলেন। এসব নিয়ে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত-৫ এ মানহানির মামলা করেন চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজী। মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট পার্থ ভদ্র, বাবু সুব্রত পাল ও শফিকুল ইসলাম কে আগামী ২৭ ডিসেম্বর আদলতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৯নং মাইজ ইউনিয়নের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসাবে ২০১৬ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। পরবর্তী আমাকে সকল ইউপি সদস্যগনের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে আমাকে নির্বাচিত করে, পরে রানিং চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে, ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে ৯নং মাইজচর ইউনিয়নের সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করাবস্থায় ২০২২ ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর ৯নং মাইজ ইউনিয়নের সর্বস্থলের জনগন আমার পূর্বে ভাল কাজের ফল সরূপ ১নং মাইজচর ইউনিয়ন বাসী আমাকে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করে। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারন মানুষের পাশে থাকিয়া সুনামের সহিত সামাজিক কর্মকান্ড সহ এলাকার সার্বিক উন্নতি করিয়া আসিতেছি। ইহাতে আমার এলাকার মানুষ আমার বিরুদ্ধাচারন নাই। আসামীদ্বয়ের সহিত আমার কোন প্রকার শত্রুতা নাই।গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাইজচর ইউনিয়নে ২ টি ওয়ার্ডে ৩টি পথসভায় আসামীদ্বয় আমার খ্যাতি সুনাম নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে আমার খ্যাতি সুনাম নষ্ট হইবে বলিয়া জানা স্বত্ত্বেও তাহার বিশ্বাস করিবার কারন থাকা স্বত্ত্বেও আসামীদ্বয় প্রকাশ্য উপস্থিত থাকিয়া এলাকার সমস্ত জনগনের সামনে এবং আমার সামাজিক মর্যাদা সম্পন্ন আত্মীয় স্বজনের সামনে মাইক যোগে আমাকে “গরু চোর বলিয়া এবং ধিক্কারজনক কথা বলিয়া এবং গরু চোরের শাস্তি হইয়াছে।বলিয়া প্রকাশ্যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়া আমার মানহানী করে। আমার বিরুদ্ধে কস্মিনকালেও এমন ধরনের মামলা মোকদ্দমা ছিল না, আসামীদ্বয়ের বক্তব্যে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করিয়াছে। আমাকে নিন্দাবাজ ও চরিত্রের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মান সম্মান হানি করিয়াছে। উক্ত মানহানিকর বক্তব্য সকলেই জানিতে পারিয়াছে। আমিসহ অন্যান্য স্বাক্ষীগন উক্ত আসামীদ্বয়ের এহেন মানহানীকর কুরুচিপূর্ণ কথা রেকর্ড ধারন করিয়াছে। আসামী উচ্চ স্তরে জানিয়া বুঝিয়া আমার চরিত্রের উপর কালিমা লেপন করিবার জন্য কুৎসা রটনা করিয়াছে। আসামীদ্বয়ের ইচ্ছাকৃত ভাবে মানহানিকর বক্তব্যের সিডিসহ স্বাক্ষীগন প্রমান করিবে।

বাদী পক্ষের আইনজিবি এডভোকেট মো: মোস্তফা আলম হিমেল বলেন, বাবু সুব্রত পাল ও শফিকুল ইসলাম মাইজচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজী কে নিয়ে যে বক্তব্য দেন এতে তার মানহানি হয়েছে, আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বাবু সুব্রত পাল ও শফিকুল ইসলাম কে আগামী ২৭ ডিসেম্বর আদলতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন। আমরা আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ