insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121তাসলিমা আক্তার মিতু :কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন। পরে জেলা শহরে ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
তিনি বলেন,এক বছরের অনুমোদিত কমিটি সাড়ে ৩বছর পার হয়ে গেছে। এই মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা কমিটিই বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করার নামে অছাত্র, বিবাহিত,মাদকাসক্ত ও বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা কমিটির অনুমোদন দেয়।তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগ, পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, অষ্টগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ, নিকলি উপজেলা ছাত্রলীগ ও হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিবির কর্মী ইসমাইল সিরাজীকে।ইসমাইল সিরাজী নিজের ফেসবুক ওয়ালে যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে শোক প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছে কিন্তু তথ্য প্রমাণ থাকার পরও তাকে তার পদে বহাল রেখেছে।সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে শোক প্রকাশ করার কারণে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কিন্তু তাড়াইল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কে অব্যাহতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান কমিটি বাণিজ্য, টেন্ডার বাজি,চাঁদা বাজি,মাদক ব্যবসা,থানার দালালি,অটো স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড,ভূমি দস্যু, নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত।তাদের এসকল অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা করা হয়।ছাত্রলীগের সংগঠনটি কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ধংসের পথে।আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আশা করি ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়। কমিটিতে আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনকে সভাপতি ও মোহাম্মদ ফয়েজ ওমান খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং লুৎফর রহমান নয়নকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।কিন্তু তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের ৩বছর ৭মাস পার হওয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি।এ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের তানিম ইসলাম,আব্দুল কাইয়ুম স্বপন,কামরুল ইসলাম রতন,শাওন আহম্মেদ নিলয়,কাজী আবেদীন সোলাইমান,আশিকুর রহমান আশিক,সাইফুর ইসলাম ঝিনুক,নাদিম ইসলাম,আশিকুর ইকবাল,আজহারুল ইসলাম জুনায়েদ, সাইদুর রহমান সজল,বিবেকানন্দ রায়,রোমান খান,নাহিদ হাসান রাজন,সাব্বির আহম্মেদ মুন্না,আবু নাছির বায়তুল,আহসান উল্লাহ রাব্বী প্রমুখ।