insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121ডেস্ক: জেলার ভৈরবে স্ত্রীকে জুতা তৈরীর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় স্বামী মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৪১) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াজুল কাউছরের আদালতে ১৬৪ ধারায় ৪ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০) কে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া মোঃ ফয়েজ উদ্দিন জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে নিহত সেলিনা বেগম ঘাতকের স্ত্রী। পিবিআই উপপরিদর্শক আবু কালাম জানান,ফয়েজ উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে রাজধানী ঢাকার লালবাগের নবাবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০১ সালে সেলিনা বেগম ও মোঃ ফয়েজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মোঃ ফয়েজ উদ্দিন নিজ বাড়ীতে জুতা তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করত। ফয়েজ উদ্দিন বিভিন্ন নারীর সাথে পরকীয়ায় প্রেম ছিল। এসব নিয়ে সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। গত ৩১ জুলাই রাতে ফয়েজ উদ্দিন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলিনা বেগম (৪০) এর মাথায় জুতা তৈরীর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় গত ১ আগস্ট নিহতের ছোট ভাই নাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ফয়েজ উদ্দিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
পরে পিবিআই সিডিউলভূক্ত হওয়ায় থানা পুলিশের তদন্তাধীন অবস্থায় কিশোরগঞ্জ পিবিআই গত ২০ আগস্ট মামলাটি অধিগ্রহন করে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই ফয়েজ উদ্দিন পালিয়ে যায়। কিছুদিন চট্টগ্রাম বসবাস করে। পরে ঢাকায় চলে যায়। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জবানবন্দি শেষে ফয়েজ উদ্দিনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।