insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলায় দুই সন্তানের জননী গুরুতর আহত হয়েছে।
জানা গেছে করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের মাঝিরকোনা গ্রামের আ:রশিদের ছেলে মুসলিম,খোকন, ফারুক মিয়া ও আরিফ এবং মুসলিমের ছেলে তুহিন গংরা একই গ্রামের আ:খালেকের ছেলেদেরকে নানাভাবে নিপিড়ন ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছিলো। এসবের প্রতিবাদ করলেই তারা তেড়ে এসে গালিগালাজ করে ঘরে প্রবেশ করে হুমকি ধমকি দিতো।
গত কয়েক মাস আগে জাফরাবাদ ইউনিয়নের মাঝিরকোনা গ্রামের মুসলিম মিয়ার মাদকাসক্ত ছেলে তুহিন নেশা করে তার বাবা ও মাকে প্রহার করে। এ ঘটনায় মুসলিম মিয়া বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলায় কিছুদিন হাজতবাসে ছিলো তুহিন। সম্প্রতি হাজত থেকে বের হয়ে তুহিনের চাচা আ:খালেকের সন্তানদের সাথে জমি পাবে বলে চাদা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এর জেরে সম্প্রতি আ:খালেকের ছেলে ওমর আলিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেংগে দেয়। ওমর আলীর ভাই আকরাম মিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে আবারও সে চাদা দাবী করে। চাদা না দিলে ঘরে প্রবেশ করে প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসবাবপত্র তছনছ করতো।
শুধু তাই না আ:খালেকের ছেলেদের জমিজমা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে জবর দখল করে নেয়। এরপরেও খালেক সাহেবের ছেলেরা নিরবে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার সহ্য করে আসছিলো । এ নিয়ে শনিবার (১৬ডিসেম্বর) সকালে উভয় পক্ষের সার্ভেয়ার ও দলিল লিখক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিশ বসলে তুহিন গংরা জমি পাবে না জেনেই সালিশে উপস্থিতিদের সামনেই উত্তেজিত হয়ে দেশিয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আ:খালেকের ছেলেদের উপর চালায়। আ:খালেকের ছেলে আ:আউয়ালকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তার ঘরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে পেছন দিক দিয়ে আওয়ালের মাথা লক্ষ্য করে তুহিন দা দিয়ে কুপ দিলে স্ত্রী হেপি আক্তারকে বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তুহিনের ধারালো দায়ের কোপে হেপি আক্তারের হাতের একটি আংগুল কেটে যায়। স্থানীয় এলাকা বাসী ও সালিশে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে হেপির অবস্থা আশংকাজনক রয়েছে বলে জানা গেছে।
জাফরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সারোয়ার আলম হান্নান বলেন,আজকের পুর্ব নির্ধারিত সালিশ বসলে উভয় পক্ষের জমি মাপঝোঁক শেষে যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখনই প্রকাশো আওয়ালকে উদ্দেশ্য করে দা দিয়ে কুপ দেয় তুহিন আর সে কোপ ফিরাতে গিয়ে তার স্ত্রীর ডান হাতের আংগুল কেটে যায়। যা খুবই দু: খজনক ঘটনা।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।