Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি-সুলেখা আক্তার শান্তা – Pratidin Sangbad

অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি-সুলেখা আক্তার শান্তা

হাসপাতালে বারান্দায় বসে আছে উদ্বিগ্ন সাবিনা। তার বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ সিদ্দিকুর রহমান রোগ যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে কাতরাচ্ছেন। সাবিনা বাবাকে নিয়ে কী করবে বুঝতে পারছে না। করিতকর্মা স্বভাবের হলেও অসহায় দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক দেখছে সে। হাসপাতালে সিট নাই। সময় যত যাচ্ছে সিদ্দিক রহমানের অবস্থা ততই খারাপের দিকে যাচ্ছেন। উদ্যমী যুবক সোহেল তার এক আত্মীয় রোগীকে দেখে বাসায় ফিরছিল। সামনে বৃদ্ধ রোগীর কাতরতা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সে থমকে দাঁড়ায়। সাবিনা তখন বাবাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, বাবা একটু অপেক্ষা করো দেখি কী করা যায়। সোহেল জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছে আপনার বাবার? আমার বাবা শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি করতে পারছি না। ঠিক আছে রোগীর কাগজপত্র গুলো দেন দেখি কী করা যায়। সোহেল ছোটাছুটি করে সিদ্দিকুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। ডাক্তার পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দেয়। সোহেল দ্রুত গিয়ে ঔষধ কিনে আনে। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছে, সিদ্দিকুর রহমানকে রক্ত দিতে হবে। সোহেল কাগজপত্র নিয়ে ছুটে ব্লাড ব্যাংকের দিকে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ওই গ্রুপের রক্ত নাই। সাবিনা চেনাজানা আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে। রক্ত দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায় না। সোহেল বলে সিদ্দিকুর রহমানের রক্তের সাথে তার রক্তের গ্রুপের মিল আছে। ডাক্তার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়। সোহেল রক্ত দেয়। সোহেলের প্রতি সাবিনা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। রক্তের ঋণ তো শোধ করা যায় না। আপনি যে উপকার করলেন তা শুধু কৃতজ্ঞতা দিয়ে শোধ করার মতো নয়। সোহেল বলে, আপনার এতটা অনুনয় দেখাতে হবে না। মানুষ মানুষের জন্য। আমি তো উপলক্ষ মাত্র। সবই আল্লাহ তালার রহমত।
সিদ্দিকুর রহমানের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সোহেল এসে খোঁজখবর নেয়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে সিদ্দিক রহমানের পরিবারে তিনি ছাড়া উপার্জন সক্ষম আর কেউ নাই। সাবিনার আপত্তি উপেক্ষা করে সোহেল হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে। সিদ্দিকুর রহমান সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও শঙ্কা কাটেনা। পূর্বের মতো কর্ম ক্ষমতা অর্জন তার পক্ষে এখন আর সম্ভব হবে না। তাকে ঔষধ নির্ভর হয়ে চলতে হবে। চাকরির আয় দিয়ে তিনি সংসারের সচ্ছলতা ভালোভাবে বজায় রেখেছিলেন। অসুস্থতায় হঠাৎ তার পরিবারে নেমে আসে অনিশ্চয়তা।
নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ায় দায়িত্ববান সোহেল সিদ্দিক রহমানের পরিবারের একজন হয়ে ওঠে। যে কোন প্রয়োজনে সজাগ দৃষ্টি তার। সাবিনার দ্বিধা দ্বন্দ্ব নিরসন করে, টাকা হলে ফেরত দিয়ে দিবেন বলে। সিদ্দিকুর রহমান সোহেলের বদান্যতায় কৃতজ্ঞতার ভাষা খুঁজে পান না। পরম মমতায় বলেন, বাবা বড় নিদান কালে তুমি আমার পাশে দাড়াইছো। জানিনা তোমার ঋণ আমি কবে শোধ করতে পারব। দোয়া করি আল্লাহ যেন তোমাকে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করেন। সোহেলের দায়িত্বপূর্ণ তা যেন সার্থকতা পায়।
অর্থাভাবে সাবিনার পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হয়। সমাধান হয় সোহেলের সপ্রণোদিত চেষ্টায়। সোহেল বলে, বিদ্যা অর্জনে সহায়তা করতে পারা মহৎ কর্ম। সেই সুযোগ থেকে কাউকে বঞ্চিত করা মোটেই উচিত নয়। ঠিক আছে টাকা-পয়সা হলে তুমি কড়ায় গন্ডায় পরিশোধ করে দিও। কলেজের সমস্ত খরচ খরচা দিয়ে সোহেল সাবিনার কলেজে ভর্তিতে সহায়তা করে। সোহেলের নিঃস্বার্থ আন্তরিকতা পরিবারের সকলের মধ্যে এক মমত্ববোধ তৈরি করে। সোহেল সাবিনার প্রকৃতিতে তারুণ্যের স্বাভাবিক ধর্ম মঞ্জুরিত হয়ে ওঠে। তোলপাড় করা আবেগে প্লাবিত হতে থাকে দুজনার হৃদয়। ইচ্ছা থাকলেও সোহেল মুখ ফুটে সাবিনাকে বলতে পারে না মনের অনুভূতি। তার সংকোচ সাবিনা যদি ভাবে উপকারের সুযোগ নিতে চায় সে। অনেক আগেই সোহেল সাবিনার মন জয় করেছে। নারী সুলভ অহম আটকে রেখেছে তাকে। সাবিনা চায় সোহেল আগে ভালোবাসার কথাটি বলুক। প্রেম প্রবাহের টানপড়নে একদিন সোহেল বলে ফেলে তার ভালোবাসার কথা। উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের মতো সাবিনা মনে আছড়ে পড়ে ভালবাসার আহ্বান। সাবিনা উল্লসিত হয়ে বলে, আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি কিন্তু আমি চেয়েছিলাম তুমি মুখ ফুটে বলো।
আজ বললাম তুমি খুশি তো?
হ্যাঁ খুশি। আমার মন চাচ্ছে আকাশ বাতাস সব কিছুকে জানিয়ে বলি সোহেল আমাকে ভালোবাসে আমি সোহেলকে ভালোবাসি। তোমার উল্লাস দেখে আমিও উচ্ছ্বসিত।
রাবেয়া মেয়ের ভালোবাসার কথা টের পান। মেয়েকে সতর্ক করে বলেন, মা সোহেল হচ্ছে বড়লোকের ছেলে আর আমরা গরিব। মা হয়ে তোকে সতর্ক করছি। ধনী গরিবের সম্পর্কের পরিণাম কি হয় তোকে বলে বোঝাতে হবে না। সোহেলের পরিবার কি মেনে নেবে তোকে? সাবিনা মায়ের যুক্তি খন্ডন করতে চেষ্টা করেন। মা, সোহেল যে রকম উদার সোহেলের পরিবার ও তেমনি হবে। রাবেয়া বলেন, তারপরও আমার ভয় হয়। যদি সোহেলের পরিবার বেঁকে বসে। সাবিনা বলে, সোহেল তো ঠিক আছে। সামনেরটা নিয়ে ভাবতে চাই না পরেরটা পরে দেখা যাবে।
সোহেল তার মাকে জানায় সাবিনার কথা। নুরনাহার বিস্তারিত জানার পর এ বিষয় অসম্মতি জানান। মা বলেন, বাবা এখানে আত্মীয়তা না করাই ভালো। তাদের যে অবস্থা জানলাম ওই পরিবারকে সবসময় তোমাকে টানতে হবে। যতদূর আগাইছ আর না আগানোই ভালো। সোহেল বলে, মা আমি সাবিনাকে ভালোবাসি। এখান থেকে ফিরতে পারবো না। ব্যাপারটা হবে বিবেক বিবেচনা বিসর্জন দেওয়া মতো। আমার মনের অবস্থাটা একবার বুঝতে চেষ্টা করো। অর্থ সম্পদ দিয়ে তোমরা মানুষে মানুষের সম্পর্ক বিচার করো। শান শওকতে সবসময় সুখ মিলে না। মনের মিল না হলে যেটা মেলে সেটা কৃত্রিম সুখ। মা ছেলেকে তবু বোঝাতে চেষ্টা করে। তোমার বাবা আছে তাই অভাব কি জিনিস টের পাচ্ছ না। তোমার বাবার ইনকাম আছে যদি না থাকতো তাহলে তুমি বুঝতে পৃথিবীতে চলার পথ কত কঠিন।
সোহেল মাকে অনেক মিনতি করে রাজি করায়। তুমি যদি কাউকে ছেলের বউ করতে চাও তাহলে সাবিনাকে করো। নুরনাহার ছেলের কথায় সাবিনাদের বাসায় যায়। সাবিনাদের বাসার হাল হকিকত দেখে কোনোমতেই মন চায় না ছেলেকে সেখানে বিয়ে করাতে। সাবিনাকে নিরুৎসাহিত করতে চেষ্টা করেন। নুরনাহার বলেন, তুমি আমার ছেলেকে বিয়ে করতে চাও কিন্তু ও তো কিছু করেনা। ও তোমার জন্য মোটেই উপযুক্ত না। বিদেশে থাকে ভালো আয় রোজগার আছে এমন ছেলেকে বিয়ে করলে তোমার জীবন ভালো যাবে। স্বামী নগদ টাকা পাঠাবে তা দিয়ে স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবে। আমার ছেলে তোমার জন্য কিছুই করতে পারবে না। ভালো হয় তুমি আমার ছেলের পিছন ছাড়ো। সাবিনার আত্মসম্মান বোধ তাকে মর্মাহত করে। সে সরাসরি বলে দেয়, বিয়ে যদি করি আপনার ছেলেকেই করবো না হয় সারা জীবন অবিবাহিতই থাকব। নুরনাহার ক্ষুব্ধ হন। তোমার কথায় তো বেশ জোর। ছেলে আমার আর অধিকার দেখাও তুমি? এখনও আমার ছেলের বউ হতে পারো নাই হলে না জানি তুমি কী করবে! চিরকালের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নারীর বাদানুবাদে উত্তাপ বাড়েতে থাকে। শোনেন, মায়েরা ছেলের জন্ম দিলেই ভাবে পুরো রাজত্ব তাদের হাতে। মেয়ে হলো তো পানিতে ভাসল। মেয়ে হলে যেন অনুভূতিহীন হয়ে থাকতে হবে। মেয়ে হয়ে জন্মানো কি পাপ? আপনিও তো মেয়ে, যে ঘরেই আপনার জন্ম হোক তার জন্য তো আপনি অপরাধী না। নুরনাহার বলেন, শোনো আমি যেমন পরিবার তেমনি পরিবারের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে। আমি মাটিতে বসে আকাশের চাঁদ ধরতে চাইনি। আমি তোমার লেকচার শোনার জন্য এখানে আসিনি, আমি আমার ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে এখানে আসছি। তুমি আমাকে চরম শিক্ষা দিলে। ছেলেকে বলেন, বাবা এখানে তোমার বিয়ে হবে না। যে মেয়ে গুরুজনদের মুখের উপর কথা বলে সে মেয়ে আর যাই হোক আমার ছেলের বউ হতে পারে না। সোহেল বলে, ও তোমার সঙ্গে ওরকম কেন করেছে জানিনা কিন্তু তো ওরকম মেয়ে না। ও তো বেশ সহিষ্ণু স্বভাবের মেয়ে। বাবা এখন ওই মেয়ের সার্টিফিকেট কী তোমার কাছ থেকে নিতে হবে? যে মেয়ে বিয়ের আগে এত স্পর্ধা দেখায় সে বিয়ের পর না জানি কী করে বসবে!
সোহেল কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বিয়ে ব্যাপারটা অনাদিকালের বৈষয়িক সামগ্রী এখানে মানবিক অনুভূতি নগণ্য। যারা মূল উপলক্ষ তাদের অস্তিত্ব মূল্যহীন এখানে। একদিকে মায়ের দাবি অন্যদিকে ভালবাসার দাবি। বিপরীতমুখী এই দ্বন্দ্বের সমাধান খুঁজতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয় তরুণ হৃদয়। মায়ের দিকে তাকালে ভালোবাসা হারাতে হয় আর ভালোবাসার দিকে তাকালে মায়ের মন ভেঙে যায়। একসময় সোহেল সাবিনাকে বলে, আমি কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এ প্রশ্নের উত্তর সাবিনার কাছে নেই। সে বলে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তোমার। তুমি কী করবে সেটা একান্ত তোমার ব্যাপার। তবে আমি সেই মেয়ে না যে বিয়ের জন্য শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাছে মাথা নত করব। সোহেল গতানুগতিক কথাই বলতে চেষ্টা করে। গুরুজনদের কাছে মাথা নত করা অসম্মানের কিছু নয়। সাবিনার কথা, অন্য ব্যাপার হলে ঠিক ছিল কিন্তু এ ব্যাপারে আমাকে আত্মমর্যাদাটা রক্ষা করতে দাও। মেয়ে হয়েছি বলে নদীর জলে ভেসে আসিনি। সোহেল সিদ্ধান্তহীনতায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। কী করবে কোন দিকে যাবে কী সিদ্ধান্ত নিবে।
সিদ্দিকুর রহমানের অসুস্থতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি একদিন সোহেলকে কাছে ডাকেন। বাবা আমি তোমাকে কয়েকটা কথা বলতে চাই। জানিনা আর বলতে পারব কিনা। মনে হয় সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। পরিস্থিতি বিবেকবান মানুষের কর্তব্যবোধ তৈরি করে। তরুণদের এই অনুভূতি তীব্র হয়। আমি তোমার দিকটা বুঝি। মানুষ এক জীবন পার করে অনেক বিচিত্র পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে। সাধারণ বুদ্ধি মেধায় তার সব সমাধান সম্ভব হয় না। কেউ সমাধানের রাস্তা দেখাতে না পারলেও ভুল বোঝার বিভ্রান্তিকর রাস্তা ঠিকই দেখায়। বাবা আমি যত কথাই বলি মনে হয় আমি যেন স্বার্থপর পিতার মতো সব বলছি। তারপরও বলি আমার মেয়েটা তোমার ঘরে গেলে তুমি সুখী হবে। তুমি আমার মেয়েকে গ্রহণ করো। আমার সব ছেলে মেয়েরা খুব মেধাবী ওরা কেউ কখনো কারো বোঝা হবে না। আমার মেয়েও তোমাদের বোঝা হবে হবে না বরং সম্পদে পরিণত হবে। পিতা হিসেবে গর্ব করে বলছি না এটা আমার উপলব্ধি।
সোহেল খুঁজতে থাকে দ্বিধা দ্বন্দ্বের সমাধান। নতুন করে খুঁজতে থাকে ভারসাম্য বজায়ের পথ। এটার সঙ্গে সমাজ সংসারের জটিল বিন্যাস জড়িত। সব দিক রক্ষা করে সমস্যা সমাধানের নজির খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। সোহেলের বুঝতে পারে ভালোবাসার দাবি এবং পরিবারের দাবির চিরন্তন দ্বন্দ্বের আসলে কোন সহজ সমাধান নাই। সাবিনার কাছ থেকে সরে গেলে সেটা হবে চরম কাপুরুষতা। ভালবাসার কাছে নিজের কাছে ছোট হয়ে যাবে সে। মানুষ বিবেকবান দায়িত্ববান হলে এমন অমানুষ হতে পারে না। পিতা মাতা জন্ম দিয়ে প্রতিপালন করে মানুষে পরিণত করেছে। তোদের অন্তরে আঘাত দিয়ে পুত্র হিসেবে চিরকাল অপরাধের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। দোটানায় পড়ে প্রায় হতাশাগ্রস্ত সোহেল পরিত্রাণের পথ খুজতে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন ঘটে যায় অবধারিত অঘনটি। সিদ্দিকুর রহমান ইন্তেকাল করেন। সোহেল শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আবেগি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। সে সাবিনাকে বিয়ে করবে। সে সাবিনাকে বিয়ে করবে। সে ভাবে পরে কী হয় দেখা যাবে। সোহেলের বিশ্বাস পরিস্থিতি ম্যানেজ করে ফেলতে পারবে। পিতা মাতা সন্তানকে তো ফেলে দিতে পারবেন না। রক্তের সম্পর্ক আর প্রতিশ্রুতির সম্পর্কের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। রক্তের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় না কিন্তু প্রতিশ্রুতির সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে যুক্ত করা দুরূহ।