বর্ণিল আয়োজনে কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কনকনে ঠান্ডা,হাড় কাঁপানো শীত, হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতায় ছড়াবে পিঠা পুলির সুবাস’ আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফলে পিঠা উৎসব আজ বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে
কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব।
বৃধবার (২৪জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রীবৃন্দের আয়োজনে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভিতরে ২৪টি স্টলে বসে বাহারি জাতের পিঠা। যেমন দুধ পুলি, নকশী পিঠা, দুধ চিতুই, কলা পিঠা, ছানার পুলি, রস মালাই, গুড় সন্দেশ, পায়েস, জামাই পিঠা, পাপর, মাংসের পিঠা,দুধের বিভিন্ন জাতের পিঠাসহ ২০০ জাতের বানানো পিঠা স্টলের টেবিলগুলোতে সাজানো ছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনও পিঠা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই পিঠা উৎসবে।
এদিকে মেলার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিদ্যালয়ের প্রধান বিপদ বঞ্জন বনিকের
সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুর নাহার মাকছুদা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপদ বঞ্জন বনিক বলেন, কিশোরগঞ্জের শতভাগ ভালো ফলাফল হয় এই স্কুলে। আমরা স্কুলের মেয়েদের পিঠা উৎসবের আগ্রহ দেখেই এর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছর স্কুল প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আনন্দ প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পৌষ পিঠা বাঙালির জাতির একটি ঐতিহ্য। নবান্ন উৎসবের পরপরই পিঠা উৎসবের একটা ধুম পড়ে যায় গ্রামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে পিঠা উৎসব করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের পিঠা বানানোর মনসিকতা তৈরি হবে। পাশাপাশি মানসিকভাবে আনন্দ পাবে। বাংলার ঐতিহ্যকে শিক্ষার্থীরা মনে ধারণ করবে আমরা সেই প্রত্যাশা থেকেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা।
প্রধান অতিথি শামছুর নাহার মাকছুদা
বলেন, বাঙালি হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী, আর শীতের সময় পিঠাপুলির স্বাদ সব থেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে।