insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এক গার্মেন্টস কর্মী ১৮ বছরের তরুণীকে অপহরনের পর মুক্তিপন দাবী, দলবদ্ধভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো,মোঃ কাউসার আহম্মেদ (২৪), জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮),তোফাজ্জল হোসেন রাজু (২৪), নামে তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বিকালে গাজীপুর এসকে ট্রিমস গার্মেন্টস কর্মী ১৮ বছরের তরুনী নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানায় চরতেরটেকিয়া আসার পর ভিকটিমের বন্ধু সাব্বির হোসেনের মামা সম্পর্কে অটো ড্রাইভার হুমায়ুন কবির, আশরাফসহ পাকুন্দিয়া তারাকান্দি বাজারে ঘুরতে যাওয়া অবস্থায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় আসামী মোঃ কাউসার আহম্মেদ,জুবায়েদ হাসান শুভ, মেহেদী হাসান, হৃদয়, বাবু, তোফাজ্জল হোসেন রাজু, ইয়াসিন মিলে অটোরিক্সাটিকে তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে নিয়া যায় এবং মুক্তিপন বাবদ ভিকটিমের বন্ধু সাব্বিরের কাছে ১০,০০০/- টাকা দাবি করে।
আসামীরা তাহাদেরকে আরো বলে যে, মুক্তিপনের টাকা না দিলে ভিকটিমকে এবং তাহাদের সাথে থাকা অটোরিক্সা ছাড়বে না।আসামীরা অটোরিক্সার ড্রাইভার ও ভিকটিমের বন্ধু আশরাফ সহ মাদ্রাসার মাঠে রেখে ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে মাদ্রাসার পাশে রানা ভূঞার একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে আসামীদের মধ্যে প্রথমে হৃদয়, পরে মেহেদী, বাবু, কাউসার এবং সবশেষে আসামী জোবায়ের হোসেন শুভসহ ৫ জন আসামী অপরাপর সহযোগিতায় ঘরের পাশের পূর্ব কোনায় মাটিতে ফেলে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় মাদ্রাসার মাঠে থাকা সাব্বিরের বন্ধু আশরাফ মুক্তিপনের টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে থানায় এসে পুলিশকে অবগত করলে পাকুন্দিয়া থানার এসআই মোঃ দ্বীন ইসলাম, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মোঃ রাকিব উজ্জামান খান, তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষনের ফলে অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে বাকী ২ জন পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাকুন্দিয়া থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ মোবারক হোসেন।
কিশোরগঞ্জ অতিঃ পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)মোঃ আল আমিন হোসাইন জানান, ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য ওসিসি, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনা প্রমাণে সহায়ক আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িত পলাতক সকল আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।