Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
আল্লা’য় যদি বাঁচায় সামনের শীতে আর কষ্ট অইত না’ – Pratidin Sangbad

আল্লা’য় যদি বাঁচায় সামনের শীতে আর কষ্ট অইত না’

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এবার শীত পড়েছিল খুব বেশি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে পরপর বেশ কয়েকদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল এই উপজেলায়।

এ অবস্থায দুর্দশায় পড়েন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেননি অনেকে। সরকারি সহায়তাও ছিল অপ্রতুল।
বিষয়টি দাগ কাটে স্থানীয় নিউজ পোর্টাল ‘আমাদের নিকলী ডট কম’ কর্তৃপক্ষের হৃদয়ে।
তারা ফেসবুক বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে শীতার্তদের জন্য কম্বল আহ্বান করেন। সাড়াও পড়ে ভালো। জানুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত তাদের কাছে কম্বল আসেতে থাকে। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সকালে নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পাঁচ শতাধিক অসহায় দরিদ্র পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন আমাদের নিকলী ডট কম এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আজমল আহছান। তাকে সহায়তা করেন দৈনিক নয়া দিগন্তের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল আমিন, দৈনিক ইনকিলাবের নিকলী সংবাদদাতা মো: হেলাল উদ্দিন, আমাদের নিকলী ডট কম-এর বিশেষ প্রতিনিধি মোবারক হোসেন সাদী প্রমূখ।
কম্বল বিতরণের বিষয়ে আজমল আহছান বলেন, ‘শুভার্থীদের কাছ থেকে কম্বলগুলো দেরিতে পাওয়ায় এগুলো শীতের শেষে বিতরণ করতে হচ্ছে। তবে আমরা যে কম্বলগুলো পেয়েছি এগুলো প্যাকেট করা এবং উন্নত মানের। আগামীতে প্যাকেট খুলে এগুলো নতুন অবস্থায় ব্যবহার করতে পারবে এবং অনায়াসে চার-পাঁচ বছর এগুলো ব্যবহার করা যাবে।’

কম্বল পেয়ে খুশি জারইতলা গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাবা, এই শীতে অনেক কষ্ট করছি! কতজনের কাছে যে গেছি একটা শীতের কাপড়ের লাগি। এই কম্বলটা পাইয়া ভালা হইছে।
আল্লা’য় যদি বাঁচায় সামনের শীতে আর কষ্ট হইত না।