Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে বিদায়ী ইমামকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুসুল্লীরা – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জে বিদায়ী ইমামকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুসুল্লীরা

আমিনুল হক সাদী,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কোরআনের হাফেজ বিদায়ী ইমাম মোকাররম হোসেনকে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী সংবর্ধনা সম্মাননা দিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জেলা সদরের মাইজখাপন ইউনিয়নের মধ্য হাজিরগল মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোকাররম হোসেনকে এ বিদায়ী সম্মাননা প্রদান করেন মনজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকবাসী মুসুল্লীরা। বিদায়ী ইমামের সম্মানে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে নানা উপঢৌকন ও নগদ টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও এলাকাবাসী ও মসজিদের মক্তবের শিক্ষার্থীরাও প্রিয় হুজুরকে নানা উপহার সামগ্রী তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মুসুল্লীদের আবেগময় বক্তব্যে ও বিদায়ী জানাতে গিয়ে এক অন্য রকম পরিবেশ তৈরী হয়। সকলের অশ্রæসিক্ত চোখের জলে প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে পারছিলেন না। এ সময় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আ.হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো: সুরুজ মিয়া, অর্থ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, মোতাওয়াল্লী মো: মস্তোফা, হাজী মোমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শামসুজ্জামান,সমাজকর্মী খোকা, সাবেক মেম্বার কামরুজ্জামান বিপ্লব, কাজী মাও. আবুল
হাসেম প্রমুখ অনুভূতি পেশ করে হুজুরের ভবিষ্যত জীবনের কল্যাণ কামনা করেন। পরিশেষে বিদায়ী ইমাম হাফেজ মোকারম হোসেন এক হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন দীর্ঘ ৮ বছরের ইমামতির দায়িত্ব পালনকালে এলাকাবাসী আমাকে যেভাবে ভালোবেসেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় গেলেও মন পড়ে থাকবে এখানে। আপনাদের মুহাব্বত কখনও ভোলা যাবে না। এর আগে তিনি জুম্মার বয়ানে অন্যায় অনাচার পাপাচার থেকে বিরত থাকতে এলাকাবাসী ও যুব সমাজের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনাদের এলাকায় কোনো
স্থানে গান বাজনা ও বেহায়াপনাকে কোনোভাবেই আশ্রয় প্রশয় ও সমর্থন দেবেন না। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদের দিনকে অপবিত্র করতে যারা বেপর্দাভাবে অভিভাবকের অসম্মতিতে ঘর থেকে বেরিয়ে উন্মাদনায় মেতে চায়ের নাম ধরে এলাকায় যা করছে এ থেকে যুব সমাজকে বেরিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহবান করেন এই ইমাম।
জানা গেছে জেলার ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউনিয়নের বাসিন্দা হাফেজ মাও মোকাররম হোসেন ২০১৫ সালে হাজিরগল মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর
যোগদানের পরেই এলাকায় দাওয়াতে তাবলীগের ব্যাপক প্রচার প্রসার হয় এবং যুব সমাজকে
মসজিদমুখী করণে উদ্বুদ্ধ করেন। ফলে মুসুল্লীদের সংখ্যাও বেড়ে গিয়ে মসজিদের উন্নয়ন
সম্প্রসারিত হয়। ২০০০ সালে মসজিদের জন্য এলাকার মুরুব্বী প্রয়াত মুন্সি আ.আতিব ভুইয়া
৮ শতাংশ জায়গা দান করেন। উক্ত জায়গায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রথমে টিনসেড পরে
২০১৩ সালে দুতালা ভবনের অবকাঠামো তৈরি হয়। ২০২১ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়
মসজিদের পাশে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা.ঈদগাহ ও কবর স্থান স্থাপিত হয়। যেটির শুভ উদ্বোধন
করেছিলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মামুন আল মাসুদ খান। এছাড়াও ইমাম সাহেবের
প্রচেষ্টায় মসজিদে একটি মসজিদভিত্তিক ইসলামী পাঠাগার গড়ে তোলেন। এর মাধ্যমে
ইসলামী জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এলাকায় প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বই পড়ে
ইসলামী শিক্ষায় জ্ঞানার্জনে সহায়ক হচ্ছ্ধেসঢ়;।
পরিশেষে মসজিদের ইমামকে মসজিদ পরিচালনা কমিটি একটি গাড়ি দিয়ে ইটনা উপজেলার
রায়টুটি গ্রামে পৌঁছে দেন। সচেতন মুসুল্লীরা বলেন মানুষ চাকুরী থেকে বিদায় নিলে

বিদায়ী সম্মাননা ও ভাতা পান। কিন্ত একজন ইমাম সাহেব মসজিদে অনেক বছর খেদমত করে
নিয়মিত বেতনও পান না। তাই এতদাঞ্চলের মানুষ বিদায়ী ইমাম সাহেবকে এ সম্মানে ভূষিত করে
একটি যুগান্তকারী অধ্যায় সৃজন করলো।