Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
এবারও পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা,চলছে গণনা – Pratidin Sangbad

এবারও পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা,চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। এখন চলছে গণনা। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। নয়টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নয়টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। নয়টি দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে সেটা বলা যাবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

এসময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ পারভেজ বলেন,ব্যাংকের জমাকৃত দানের টাকার মুনাফা অসহায় গরিব ও ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা বাবৎ ব্যয় করা হয় ।

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদরাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনমাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।