Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আজ ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ:কিশোরগঞ্জে ১৭ বছর পর কলেজছাত্র হত্যায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, ভৈরব উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের শাকিল উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৯), পাশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারে স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪১) ও একই জেলার আশুগঞ্জ সোনারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ (৩৭)।
রায় ঘোষণার সময় সেলিনা বেগম ছাড়া বাকি দুজন পলাতক। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
নিহতের নাম মোহাম্মদ আলী (২২)। তিনি ভৈরবের হাজী আসমত কলেজে বিএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন। তিনি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন জানান, জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়ার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হাজী হাসমত কলেজে হোস্টেলে থেকে বিএসসি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করতেন। ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদ ভৈরব হাজী হাসমত কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা দুজনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে ভৈরবের মাতৃকা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব থানায় মামলা করেন।
পরে একই বছরের ৩০ মে ভৈরব থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আ. আজিজ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ