insert-headers-and-footers
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাওর অঞ্চলে সড়কপথে যাতায়াত সহজ করতে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সওজ বিভাগের উদ্যোগে মিঠামইন-করিমগঞ্জ ও ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন নদীতে মোট ছয়টি ফেরি চালু করা হয়।
এর মধ্যে মিঠামইন-করিমগঞ্জ সড়কে ঘোড়াউত্রা নদীর শান্তিপুর ঘাট এবং করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের বালিখলা ঘাটে দুটি ফেরি চলত। ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কে ধনু নদীর বলদা ঘাট, শাখা নদীর বড়িবাড়ী ঘাট এবং করিমগঞ্জের চামড়া নৌ-বন্দরে আরও তিনটি ফেরি চালু ছিল। অষ্টগ্রাম থেকে বাজিতপুর উপজেলাগামী আরও একটি ফেরি চলাচল করত। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরের নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এসব ফেরিঘাটের সংযোগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে জনসাধারণের চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়ায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্যবহার করেই হাওরের মানুষকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যাতায়াত করতে হবে।
পানি পরিস্থিতি সম্পর্কে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রতিদিনই হাওরের পানির স্তর বাড়ছে। তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, হাওরের নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ফেরিঘাটের সংযোগ রাস্তা পানির নিচে চলে গেছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় মৌসুমের জন্য ছয়টি ফেরি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ফেরিগুলোর পন্টুন খুলে সরিয়ে নেওয়া হবে।